মাইক্রোস্কোপের কাজ আসলে কী? ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সব বস্তুকে মানুষের চোখে দেখার মত বর্ধিত করে তোলা, তাই তো? কিন্তু সম্প্রতি হাওয়ার্ড হিউস মেডিক্যাল ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে এমন এক শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ যা জীবন্ত কোষ, পদার্থের অণু এবং বিভিন্ন প্রাণীর ভ্রূণের কার্যকলাপ রেকর্ড করতে পারবে, তাও আবার ত্রিমাত্রিক রূপে।
Science জার্নালে অক্টোবরের ২৪ তারিখে প্রকাশিত হয় এই মাইক্রোস্কোপের তথ্য। এটি কাজ করে এমন এক পদ্ধতিতে যাকে বলা হয় ল্যাটিস লাইট-শিট মাইক্রোস্কোপি। এর জন্য একটি কোষকে প্রচণ্ড পাতলা আলোর পরত দিয়ে স্ক্যান করা হয়। এর ফলে কোষের ওপরে আলোর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়ে না আর তার পাশাপাশি কোষের ছবি অনেক উন্নত মানের ছবি পাওয়া সম্ভব হয়।
এই মাইক্রোস্কোপের উদ্ভাবনের সাথে জড়িত ডক্টর এরিক বেটজিগ এর মতে, এসব কোষের ত্রিমাত্রিক ছবি খুবই আকর্ষণীয়। সাধারণ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে কি করা হয় তা তো আমরা জানিই। কিন্তু নতুন এই মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এমন অনেক কাজ করা যেতে পারে যা আসলে আগে চিন্তাও করা যায়নি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোষগুলোর মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে ক্যান্সার কি করে বেড়ে ওঠে এবং ছড়াতে থাকে তার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
বেটজিগ এ বছরে কেমিস্ট্রিতে নোবেল পুরষ্কার পান আরেকটি শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ উদ্ভাবনের কারণে, যেখানে ব্যবহৃত হয় সুপার-রিজলভড ফ্লুরেসেন্স মাইক্রস্কোপি নামের একটি প্রযুক্তি।