বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে ভারতে। এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ভারতের জাতীয় পর্যায়ের সব গোয়েন্দা সংস্থা। তার অগ্রগতি কতটুকু তা সরজমিন দেখবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এজন্য তিনি আজ বর্ধমান যাচ্ছেন। এ সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার হাতে পৌঁছে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি। গতকাল এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিদের যোগসাজশ আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ সূত্রগুলো বলেছেন, ভারতের মাটিকে যে বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না, বর্ধমানের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকাকে দ্রুত সে বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছেন। ২রা অক্টোবর বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে খাগড়াগড়ের যে ঘটনাকে প্রথমে মনে করা হয়েছিল নিছকই বোমা বাঁধতে গিয়ে দুজনের মৃত্যু, তদন্তের জাল ছড়াতে ছড়াতে এখন তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সংস্রবও প্রমাণিত বলে গোয়েন্দারা দাবি করছেন। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তের ভার নিয়েছে যে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগিটিং এজেন্সি বা এনআইএ, তার প্রধান শরদ কুমারও ঘটনাস্থলে গেছেন। বর্ধমানের শিমুলিয়ায় যে মাদরাসাটি জঙ্গি প্রশিক্ষণের কেন্দ্র ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সেটিও ঘুরে দেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতার কথাও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বর্ধমান বিস্ফোরণের শিকড় যেহেতু এতো গভীরে, তাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিদ দোভাল স্বয়ং এ তদন্তের সার্বিক তদারকি করবেন এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গেও তদন্তের কাজে যোগাযোগ রেখে চলবেন। তাই দোভালের এই সফর বলা যেতে পারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই!