ইরাকের দক্ষিণ ও উত্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আইএস-এর হাত থেকে পুনর্দখল করেছে বলে দাবি করেছে ইরাকি ও কুর্দি বাহিনী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ২২টি বিমান হামলা চালায়। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরাকি সেনাবাহিনী ও কুর্দিস বাহিনীর স্থল আক্রমণ ও মার্কিন বিমান হামলার মুখে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে পিছু হটেছে আইএস বাহিনী। কুর্দিস পেশমের্গা বাহিনী শনিবার বলেছে, তারা উত্তর ইরাকে আইএস-এর হাতে থাকা বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে। অপরদিকে ইরাকের সরকারি বাহিনী বলেছে, বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত জুরফ আল সাখর পুনর্দখল করেছে তারা। স্থলবাহিনীকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ২২টি বিমান হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, শনিবার ও শুক্রবার উত্তরের শহর মসুলে ও পশ্চিমীর আনবার প্রদেশের ফাল্লুজাহ ও তেলসমৃদ্ধ বাইজি এলাকায় আইএস অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলাগুলো চালানো হয়। এদিকে কুর্দি বাহিনী একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মসুলের কাছে জুমারে তার বাহিনী এগিয়েছে। মার্কিন বিমান হামলায় পর্যুদস্ত আইএস বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে সকাল থেকে ৫টি ভিন্ন এলাকা থেকে এগোতে থাকে আইএস। ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি জানিয়েছে, এ সময় কমপক্ষে ৫০ জন আইএস যোদ্ধা নিহত ও ১০টি সামরিক যান বিধ্বস্ত হয়েছে। ইরাকের একটি প্রদেশের গভর্নর সাদিক মাদলুল বলেছেন, আমরা জুরফ আল সাখর শহর থেকে আজ আইএস সন্ত্রাসীদের সরাতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা সরকারি কার্যালয়গুলোতে ইরাকের পতাকা উত্তোলন করছি। এ অভিযান আশুরার মাত্র ১০ দিন আগে পরিচালনা করা হলো। এ সময় ইমাম হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে থাকে শিয়ারা। লড়াইয়ে ইরাকি বাহিনীর ৮ সেনা নিহত হয়েছে। অপরদিকে শুক্রবার ১০০ আইএস যোদ্ধা ইরাকি বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছিল ইরাকি কর্তৃপক্ষ।