বর্তমান ক্ষমতাসীনরা দেশে-বিদেশে চরমভাবে নিন্দিত ও বিতর্কিত। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকারের ক্ষমতা যে খুন আর লাশের স্তূপের ওপর দণ্ডায়মান সেটি দেশ-বিদেশের সবারই জানা। যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৬৩ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার নিজেদের অস্তিত্ব্ব নিরাপদ মনে করছে না বলে গুম-খুন-নির্যাতনের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করছে। এরই অংশ হিসেবে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আলালসহ ছয়জন বিএনপি’র নেতা-কর্মীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এটি সরকারের গভীর চক্রান্ত্রেরই অংশ। তাদের রিমান্ড বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের প্রতিদিনকার বাক্যবাণ থেকে শুধু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতিও বাদ যাননি। উচ্ছেদ, উৎখাত ও দখলের ধারাবাহিকতায় তারা এখন আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মারক স্থানটিকেই দলীয় কাচারি ঘরে পরিণত করতে চাইছে। কিছু ভূঁইফোড় সংগঠন দিয়ে সরকার বিশিষ্ট নাগরিকদের অবাঞ্ছিত করে কথা শূন্য নীরব বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। তিনি বলেন, সরকার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয় শাখা অফিস বানিয়ে নব্য বাকশালি রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।