নীলফামারীতে সরকারের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এক রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে। কিন্তু কোন সরকারকে অন্য দেশের সরকারের স্বীকৃতি দেয়ার কিছুই নেই। গতকাল ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভাশেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এসব কথা বলেন। আগামী ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সতর্ক করে হানিফ বলেন, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে কথা বলবেন। আগে নিজের নেত্রীর দিকে তাকিয়ে তারপর মন্তব্য করবেন। হানিফ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন খালেদা জিয়ার পায়ের তলায় মাটি নেই। এতে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন কি হলো তা বোধগম্য নয়। তাই যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন, তা আগে ভেবে নেবেন। নিজের ও আপনার নেত্রীর চেহারা আয়নায় দেখে নেবেন। একই সঙ্গে নিজেদের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করবেন। তারপর সংবাদ মাধ্যমে কোন বক্তব্য দেবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখন নিজেরা মারামারিতে ব্যস্ত। অনেকে বিএনপি থেকে বেরিয়ে গেছে। ২০ দলীয় জোট ছেড়েও চলে গেছে অনেকে। বর্তমান সরকারের প্রতি সারা বিশ্বের সরকারগুলোর আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাবিশ্বের সরকারগুলোর আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন কি করে? তাছাড়া সিপিএ ও আইপিইউ নামে পরপর দুটি আন্তর্জাতিক অর্জন বাংলাদেশের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হতো না। এর পরও এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে কথা বললে তা হবে অজ্ঞতা। লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে সম্মিলিত ইসলামী দলের ডাকা হরতালে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না মন্তব্য করে হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মাদের একটি অংশের ইঙ্গিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছিল। কিন্তু হরতাল সফল হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দলের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, এসএম এম কামাল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।