রাজধানীর পৃথক স্থানে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক ও দুজনের অপমৃত্যু হয়েছে। তারা হলো- ফরিদা আক্তার (১৫), মো. আবদুল্লাহ (২০) ও মানুষ ঘোষ (২৫)। গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাঈমা নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বাড্ডার চ/২২, ৫/বি নম্বর ছয়তলা বাড়ির ষষ্ঠতলার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ করতো ফরিদা। দুপুর সাড়ে ৩টায় ওই বাড়ির ফ্লোর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি আবদুল জলিল ভূঁইয়া জানান, ‘ওই বাড়ির পরিবার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে ঘরের দরজা ভেতর থেকে ছিটকানি লাগানো ছিল। বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেখে যে, ফরিদা সিলিং ফানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে তাকে সিলিং ফ্যান থেকে নিচে নামানো হয়। গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির নাঈমা নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিহতের লাশ উদ্ধারকারী বাড্ডা থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান।
অন্যদিকে, সকাল ৯টায় শেরেবাংলানগর থানাধীন আগারগাঁওয়ের বিএনপির বস্তির পাশে একটি নিমার্ণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ সময় নিচে পড়ে যায় আবদুল্লাহ। রক্তাক্ত অবস্থায় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, দুপুর ৩টায় গেন্ডারিয়া থানাধীন স্বামীবাগের স্কুল মন্দিরের পাশে ৮১ নম্বর বাড়ির নিচতলায় একটি মাইক্রোবাস কারখানায় মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মানুষ। অচেতন অবস্থায় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।