ঠিকাদারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চারজনকে অপহরণ করে দুজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ দুই ব্যক্তির একজন পরে মারা যান এবং আরেকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনের একজন পালিয়ে এলেও অন্যজন রয়েছেন নিখোঁজ।
গতকাল রোববারের এ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজের ঠিকাদারি ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি আজিজুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল সকালে কয়েকজন সন্ত্রাসী আজিজুলের সমর্থক ইসমাঈল হোসেনকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে হাত-পা ভেঙে পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনার পর একই গ্রামে বেলা একটায় ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আজিজুলের আরেক সমর্থক শাহেদ আলীর বাড়িতে যায়। তারা শাহেদের দুই ছেলে লিটন মিয়া (৩০) ও আফজাল হোসেন (৩৫) এবং নাতি মাহাবুব হাসান ওরফে রিংকুকে (২৭) একইভাবে অপহরণ করে। সেখান থেকে বজলুর রহমানের বাড়ির পেছনে নিয়ে লিটনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় ও তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। আফজালকে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। গুরুতর আহত লিটনকে পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে বিকেল পাঁচটায় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন রিংকু।