অর্থনৈতিক উন্নয়নে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে একটি নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও অবকাঠামোর কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দুবাই সফররত প্রেসিডেন্ট মদিনাত জুমিরাহ কনফারেন্স সেন্টারে দশম বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণে বলেন, এখন সময় এসেছে একটি নতুন পরিকল্পনা ও সহযোগিতার অবকাঠামো নিয়ে আমাদের সবাইকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার। মুসলিম দেশগুলোর জন্য যে কোন নতুন অংশীদারিত্বের কেন্দ্রবিন্দু হবে আমাদের জনগণ ও তাদের কল্যাণ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন অংশীদারিত্ব- এই থিমটি সময়োচিত হয়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন একটি নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করছে। বাংলাদেশ এতে নিরাপত্তার মর্যাদা, কল্যাণ এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন অবকাঠামোতে জনগণের অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এমডিজির ৮টি লক্ষ্যমাত্রার ৬টি পূরণ করেছে। এ সাফল্যের পিছনে স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বিশ্বাস করি কেবলমাত্র জনগণের দক্ষতা, জ্ঞান ও জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজের মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন করা যেতে পারে। এতে করে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত এবং ন্যায় বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত হতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১-এর লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। প্রেসিডেন্ট বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বকে আরো নতুনত্ব ও পরিবর্তনের সুযোগ সৃৃষ্টি করে দিয়েছে। আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি সম্মুখীন হচ্ছি। অসমতা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, ক্ষুধা ও রোগব্যাধি মুসলিম বিশ্বের জন্য অব্যাহত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের উন্নয়নে পথে একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ-সুবিধা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে বর্তমান বিশ্বে একটি নতুন ও সৃজনশীল পথ উদ্ভাবন করা আবশ্যক।