বিদেশী পিতা-মাতার ঔরসে সৌদি আরবে জন্মগ্রহণকারীদের সে দেশের খাঁটি নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়ার জোর দাবি উঠেছে। বলা হচ্ছে, যেসব বিদেশীর জন্ম সৌদি আরবে তারা সৌদি আরবের প্রতি ভীষণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা মনে করেন, এ দেশটি তাদের ভালবাসার দেশ। প্রকৃত সৌদি নাগরিকদের তুলনায় দেশের প্রতি তাদের আনুগত্য, অবদান কোন অংশে কম নয়। সৌদি আরবের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পেছনে তাদের রয়েছে সত্যিকার শক্তিশালী একটি ভূমিকা। তাই যদি এ দেশে জন্মগ্রহণকারীদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় তাহলে তা হবে খুবই আনন্দের। ওই সব নাগরিক মৃত্যুর পরে এ দেশেই সমাহিত হতে চান। তাই তাদের খাঁটি নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়া উচিত। গতকাল এমন প্রস্তাবনা দিয়ে একটি মতামত লিখেছেন সালেম সাহাব। সৌদি গেজেটে প্রকাশিত ওই কলামে তিনি লিখেছেন, স্থানীয় একটি পত্রিকা খবর দিয়েছে, সৌদি আরবে জন্মগ্রহণকারী বিদেশী, যাদের নিয়মিত আকামা (বসবাসের অনুমতি) দেয়া হয়নি তাদের সীমিতসংখ্যককে স্পেশাল রেসিডেন্সি কার্ড বা বিশেষ আবাসিক কার্ড ইস্যু করেছে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব পাসপোর্ট। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, যেসব ব্যক্তিকে যথাযথ আকামা এখনও দেয়া হয় নি তাদের জন্য এ কার্ড হলো একটি অস্থায়ী সমাধান। তবু এ নিয়ে যখন সামাজিক মিডিয়াতে লেখালেখি হচ্ছে তখন চারদিকে আনন্দ। বিশেষ করে সৌদি আরবে জন্মগ্রহণকারী বিপুলসংখ্যক বিদেশীর মধ্যে সেই আনন্দ আরও বেশি। এ ব্যবস্থা অস্থায়ী হলেও সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে তারা ভীষণ খুশি। যারা এখনও স্পেশাল রেসিডেন্সি কার্ড পান নি তারা আশায় দিন গুনছেন। হয়তো এর পরেই তারা খুশির খবর শুনতে পাবেন। তাদেরও দেয়া হবে এ কার্ড। তাদের মধ্যে যারা পড়াশোনা জানেন, বোঝেন তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। তারা অপেক্ষায় আছেন- হয়তো সরকার এর পরে তাদের জন্য বড় কোন উদ্যোগ নেবে। এমন অপেক্ষা চলছে বছরের পর বছর। তবে যে অস্থায়ী কার্ড দেয়া হয়েছে তার পরে হয়তো একটি চূড়ান্ত ফল বা ফলদায়ক কিছু ঘটবে। কেউ জানেন না কবে নাগাদ তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। তবুও তারা চূড়ান্ত ফয়সালা দেখতে চান। তাই যারা সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা সে দেশের আসল নাগরিকদের চেয়ে অনেক অংশে সৌদি আরবকে ভালবাসেন। সেখানেই তাদের জন্ম হয়েছে। তারা সেখানেই মরতে চান।