সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার হীন ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের নিন্দা জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। মির্জা আলমগীর বলেন, অবৈধ সরকার ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতাসীন হয়ে ক্ষমতার স্বাদ পেতে এখন অব্যাহতভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করে রক্তের স্বাদ গ্রহণ করে চলেছে। নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা এবং তড়িঘড়ি করে চার্জগঠন করছে। ভোটারবিহীন সরকারের অমানবিক নিষ্ঠুরতা ও উৎপীড়নের নতুন নতুন কৌশল দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে। মির্জা আলমগীর বলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও সেই পরিকল্পিত সরকারি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বানোয়াট মিথ্যা মামলা দায়ের ও অভিযোগ গঠন করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাকে জোর করে আটকে রাখা- যাতে তিনি অবৈধ সরকারের সমালোচনা করতে না পারেন। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার একের পর এক অগণতান্ত্রিক আচরণ, অনাচার আর জুুলুম-পীড়নের মধ্য দিয়ে জনগণকেই পিষ্ট করতে চাইছে- যাতে সুপরিকল্পিতভাবে বর্তমানে কার্যকর একদলীয় নব্য বাকশালী শাসনকে প্রলম্বিত করা যায়। আর এটি করা সম্ভব হলেই জনগণের দিক থেকে কোন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না বলে তারা মনে করছে। মির্জা আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের বুলি আউড়িয়ে এবং ক্রমাগত মিথ্যাচারকে পুঁজি করে ক্ষমতার দম্ভে ভোটারবিহীন এই অবৈধ সরকার এতটাই ভ্রান্তিতে আছে, তারা জনগণের শক্তি সম্পর্কে কোন ধারণা করতে পারছে না। কিন্তু কোন অশুভ পরিকল্পনাই জনগণের সাহসী ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে কখনওই টিকে থাকতে পারে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে বানোয়াট ও হীন চক্রান্ত্রমূলক মামলা দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এ সব দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশকে আদিম বর্বরতার দিকে ঠেলে দিয়ে নৈরাজ্যের এক চিরস্থায়ী নিঃশব্দ অন্ধকারে নিপতিত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাইছে তারা। অবিলম্বে ড. মোশাররফ হোসেনের চার্জ গঠন বাতিল করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।