দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্ব স্বীকার
করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দুই
দেশই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত ও
শক্তিশালী করতে সম্মত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের
ওয়াশিংটনে শেষ
হওয়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয়
অংশীদারত্ব সংলাপে দুই পক্ষ এ
মনোভাব প্রকাশ করেছে।
দুই দেশের অংশীদারত্ব সংলাপ
আজ শেষ হয়েছে। দুই দিনের
আলোচনায় পররাষ্ট্রসচিব মো.
শহীদুল হক বাংলাদেশের
এবং রাজনীতিবিষয়ক মার্কিন
আন্ডার
সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন। সংলাপ
শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যৌথ
বিবৃতি প্রচার করেছে।
সংলাপের প্রথম দিন উন্নয়ন ও সুশাসন,
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ
দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গ্রুপ
পর্যায়ে আলোচনা হয়। শেষ দিনের
কর্ম অধিবেশনে দুই পক্ষের
দলনেতা নিজেদের অগ্রগতির
পর্যালোচনার পাশাপাশি টেকসই
উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ দমন, অভিবাসন ও
জলবায়ু পরিবর্তনের
মতো ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয়,
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার
বিষয়ে আলোচনা করেন।
যৌথ বিবৃতিতে যা আছে: যৌথ
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে সক্রিয় নাগরিক
সমাজের প্রয়োজনীয়তার
কথা উল্লেখ করে। এ প্রসঙ্গে দুই পক্ষ
ব্যাপকতর নাগরিক অধিকার ও
মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার
মাধ্যমে নাগরিক সমাজের অবদান
সুরক্ষার কথা বলে। দুই দেশ
আগামী দিনের
সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে কিছু
ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন। এ
ক্ষেত্রে ভারত-প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক করিডর,
আন্তঃসীমান্ত জোরদারের
পদক্ষেপ,
জ্বালানি সহযোগিতা এবং অর্থন
কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ
বাড়াতে বাংলাদেশকে পূর্ণ
সমর্থনের আশ্বাস
দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া দুই দেশের
সংলাপে প্রথমবারের
মতো ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধের
ঝুঁকি মোকাবিলায় সহযোগিতার
কথা বলা হয়েছে। একটি অবাধ
সাইবার স্পেস প্রতিষ্ঠায় ব্যাপকতর
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার
প্রয়োজন বলে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।