অনেক ধরনের ব্যান্ডের কথাই ইতিমধ্যে আমরা শুনেছি। কিন্তু উচ্চাঙ্গসংগীতের ব্যান্ডের কথা এতদিন শোনা যায়নি। সে কাজটি করেছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কন্যা কৌশিকী চক্রবর্তী। ঠুমরি, দাদরা, খেয়াল আর পাখওয়াজ-তবলার যুগলবন্দি, বেহালা-বাঁশির দ্বৈরথ-এর পাশাপাশি নাচের সংযোজনে গড়ে উঠেছে এ ব্যান্ড ‘সখী’। আর নাম থেকেই স্পষ্ট এ ব্যান্ডের সবাই মহিলা। উচ্চাঙ্গসংগীতে পুরুষদের আধিপত্যকে টেক্কা দিয়ে কৌশিকী সাহসের সঙ্গে মেয়েদের এ ব্যান্ড চালু করেছেন। কৌশিকীর এ উদ্যোগে পিতা অজয় চক্রবর্তীর সমর্থন রয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, আর পাঁচটা ফিউশন মিউজিকের ব্যান্ডের মতো নয় এটি। এ প্রয়াস সফল হবে কিনা তা সময়ই প্রমাণ করবে। উচ্চাঙ্গসংগীতের সফল শিল্পী কৌশিকী ইতিমধ্যেই নিজের একটি সংস্থা খুলেছেন। তারাই সখী’র প্রযোজক। কৌশিকী জানিয়েছেন, এটি কোলাবরেটিভ প্রয়াস। বিশুদ্ধ মার্গ সংগীতের যে ধারার শিল্পী আমি সেই শৈলীকে অক্ষুণ্ন রেখে তাকে অন্য মোড়কে প্রস্তুত করতে চেয়েছি। সখী’র আত্মপ্রকাশও বেশ আধুনিক পদ্ধতিতে। সম্প্রতি ইউটিউবে আপলোড করা হয় ‘মেকিং অব সখী’র একটি ভিডিও। কৌশিকীর এ ব্যান্ডে রয়েছেন ভারতের নানা জায়গার শিল্পীরা। তবলা ও অন্য রিদমযন্ত্রে রয়েছেন শাওনী তলওয়ার, পাখওয়াজে রয়েছেন মহিমা উপাধ্যায়, বেহালায় নন্দিনী শঙ্কর, বাঁশিতে কিংবদন্তি বাঁশিবাদক হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার ছাত্র দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়। কৌশিকী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়েদের ব্যান্ড হলেও একটা বিষয় গোড়া থেকে পরিষ্কার করে দিতে চাই এটা ফেমিনিস্ট ব্যান্ড নয়। আর এ ব্যান্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কৌশিকী বলেছেন, সংগীতের মধ্য দিয়ে আমার দেশকে বোঝার প্রয়াস এই ‘সখী’। আর সেই চেষ্টা মেয়েদের থেকে ভাল আর কে-ই বা সফল করতে পারে? কৌশিকীর এ সাহসী উদ্যোগকে অকুণ্ঠভাবে সমর্থম জানিয়েছেন ১৫ বছর আগে চালু করা রিদম স্কেপ-র স্রষ্টা বিক্রম গোষ ও প্রথম বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু’র অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।