বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন আগামী ২৬শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও গ্রাহক আবদুল লতিফ বাচ্চুকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন নূর মোহাম্মদ মনি ও শফিকুর রহমান। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামকে প্রধান করে একটি আপিল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আপিল বোর্ডের সদস্য দু’জন হলেন হারুনূর রশীদ ও আবু মুসা দেবু। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই সিনিয়র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং কাজী হায়াৎ। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু মুশফিকুর রহমান গুলজারকে নিয়ে একটি শক্তিশালী প্যানেল দেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কাজী হায়াৎ এককভাবে কেবল সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তার কোন প্যানেল থাকবে না। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আলোচনার মধ্যে থাকলেও এখন তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বলে জানান তিনি। চলচ্চিত্র পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিই এখন চলচ্চিত্রের একমাত্র সক্রিয় সংগঠন বলে প্রতীয়মান হয়। চলচ্চিত্র পরিচালকদের বলা হয় ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ। যদিও এখন পরিচালকদের মধ্যে আস্থার অভাব লক্ষ্য করছেন অনেকেই। তার পরও পরিচালক সমিতি চলচ্চিত্রের সুখে-দুঃখে কিছু একটা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাই এ সমিতির নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। ফলে নেতৃত্ব প্রদানে যোগ্য দুই প্রার্থী দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং কাজী হায়াতের মুখোমুখি হওয়া নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জমজমাট করে তুলবে বলে পরিচালকরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। সভাপতি পদে দুই প্রার্থীই নিজের যোগ্যতা দিয়ে সাধারণ পরিচালকদের পক্ষে কাজ করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি পদে কাজী হায়াৎ এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু দু’জনের যোগ্যতা, মেধা, নেতৃত্ব- এসব বিষয়ে সাধারণ পরিচালকদের মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। অতএব এখন সিদ্ধান্ত পরিচালকদের ওপর। আগামী ২ বছরের জন্য তাদের সভাপতি তারা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও কাজী হায়াতের মধ্যে কাকে বেছে নেন, সেটা দেখার জন্য ২৬শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।