জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে এদেশের কোচদের নিজের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের প্রায় ৬ জন কোচের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তুলে ধরেছেন নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও। কারণ ক্লাব ক্রিকেটই হচ্ছে বাংলাদেশে ক্রিকেটার তৈরির অন্যতম একটি পাইপ লাইন। এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার আসে বাংলাদেশ জাতীয় দলে। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের খেলা শেষ হলে সেই ক্রিকেটাররা আবার লীগও খেলেন। যেহেতু ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের একটি গভীর সম্পৃক্ততা আছে সেই কারণেই প্রধান কোচ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের কোচদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনা নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান কোচ দীপু রায় চৌধুরী বলেন, ‘আসলে তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন নিজের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে তার নিজস্ব ধ্যান-ধারণা শেয়ার করতে। আমাদের সে পাশে থাকার জন্য বলেছেন। কারণ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার লীগ খেলবে। সেখানে তারা যেন সবকিছু ঠিক ভাবে করতে পারে। বিশেষ করে ইনজুরি নিয়ে আমরা যেন সতর্ক থাকতে পারি। এছাড়াও কিছু আদর্শগত বিষয় নিয়েও তিনি আলোচনা করেন।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম পাইপ লাইন বলতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ। জাতীয় দলে যারা আছেন তাদের প্রায় সবাই এই লীগে অংশ নিয়ে থাকেন। আগামী ৫ই নভেম্বর থেকে ২০১৪-১৫ মওসুমের লীগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এরই মধ্যে তিন দফা লীগের সময় পরিবর্তন হয়েছে। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ চলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই জন্য বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই শুরু করতে হচ্ছে লীগ। তবে টেস্ট সিরিজ চলায় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার যারা জাতীয় ওয়ানডে দলে আছেন তারা অংশ নিতে পারবে লীগে। আর সেই কারণেই হাথুরুসিংহে লীগের কোচদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বিশেষ করে আলোচনায় উঠে আসে ক্রিকেটার ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এই বিষয়ে দীপু রায় চৌধুরী বলেন, ‘আসলে লীগ শুরু হলে আমরা বেশ কয়েকজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে পাবো। বিশেষ করে ওয়ানডে দলে যারা আছেন। তাসকিন, মাশরাফি, আর ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটাররাও খেলবে লীগে। যাদের ইনজুরি সমস্যা আছে। আমাদের কাছে বলা হয়েছে যেন তাদের দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখি। কোন সমস্যা দেখলে যেন তাদের জানাই।’
এছাড়াও এই ঘরোয়া লীগ থেকেও অনেক ক্রিকেটার ওঠে আসেন জাতীয় দলে। সেই কারণে কোচদের প্রতি হাথুরুসিংহের অনুরোধ ছিল যেন কোন ভাল ক্রিকেটার থাকলে তাদের নার্সিং করার পাশাপাশি তাদের প্রতিভার বিষয়টি যেন অবগত করা হয়। দীপু রায় বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। হয়তো সেগুলো প্রধান কোচের পক্ষে খুব সহজেই জানা সম্ভব না। আমরা যেহেতু মাঠে থাকি তাই এমন প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেলে তাদের সম্পর্কে যেন তার (হাথুরুসিংহে) সঙ্গে আলোচনা করি। শুধু তাই না, আমরা যেন তাদের নার্সিংও করি সেই বিষয়ে তিনি অনুরোধ করেছেন।’
জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে আলোচনার সুফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ। আমরাও বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটের কোচ। কিন্তু তার চাওয়া ও আমাদের চাওয়ার মধ্যে কিন্তু কোন পার্থক্য নেই। সে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক আমরাও চাই। তাই আমি বলবো কোচ আমাদের সহযোগিতা চাইতেই পারেন। আর আমাদের উচিত তাকে সাহায্য করা।’