মেহেরপুর প্রগতি ক্লিনিকে ইমরান হোসেন (২৬) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে হামলা চালায়। এতে আহত হয়েছেন ক্লিনিক মালিক হাফিজুর রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইমরান হোসেন মেহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নতুনপাড়ার খাইরুল আলমের ছেলে এবং ঢাকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় ও ইমরানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাইড্রোসিল অপারেশনের জন্য আজ সকালে ইমরানকে মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত প্রগতি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তার অপারেশন সম্পন্ন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালটেন্ট ডাঃ এসএম নুর উদ্দীন রুমি। অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীকে বেডে রাখার পর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে রোগীর উত্তেজিত স্বজনরা ক্লিনিকে হামলা চালায়। মারধর কর হয় ক্লিনিকের মালিককে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইমরানের চাচা এনামুল হক জানান, অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্লিনিক মালিককে জানানো হয়। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হওয়ার তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানান, ওই রোগীর হাইড্রোসিল এবং এ্যাজমা আক্রান্ত ছিল বলে শুনেছি। মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরিবার অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।