পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সুমী আক্তার (৬) নামের এক শিশুর ছয় টুকরো করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার পর শিশুটিকে ছয় টুকরো করে ওই এলাকার আমন ধানের এক ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। পারিবারিক কলহের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, প্রায় দুই বছর আগে সুমীর পিতা আ. হামিদ মৃধার ছোট ভাই আবুল হোসেন মৃধার স্ত্রী মিনারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন একই গ্রামের খলিল পাহলোয়ান। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এ বিয়ে করার কিছু দিন পর মিনারা বেগম তার ভুল বুঝতে পেরে প্রথম স্বামী আবুল হোসেন মৃধার কাছে ফিরে আসতে চান। এতে বাঁধ সাধে মিনারার দ্বিতীয় স্বামী খলিল পাহলোয়ান। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে মিনারা বেগম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মিনারা বেগমের পূর্বের স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার চেষ্টার পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে সুমীর বাবা আ. হামিদকে দায়ী করেন খলিল পাহলোয়ান। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হামিদকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। গতকাল মঙ্গলবার শেষ বিকেলের দিকে খলিল শিশু সুমী আক্তারকে হত্যা করে শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরো টুকরো করে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে শিশুটির শরীরের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছয়টি অংশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হতভাগ্য শিশুর বাবা আ. হামিদ (৩৫) আজ বুধবার দুপুরে বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শিশু সুমী হত্যা মামলার এক আসামি আলী আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খলিল পালোয়ানের প্রথম স্ত্রী মাসুমা বেগমকে মামলার তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।