তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে শাহী জীবন-যাপনের অভিযোগ উঠেছে। ৩৮ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড খরচ করে ‘হোয়াইট প্যালেস’ নামে নতুন প্রেসিডেন্ট প্যালেস নির্মাণের পর থেকে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। এক খবরে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এ প্যালেসটি বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাসাদ। ১ হাজার রুমবিশিষ্ট এ প্যালেসটি ফ্রান্সের ভার্সেলিসের তুলনায় চারগুণ বড়।
তীব্র সমালোচনা উপেক্ষা করে রাজধানী আঙ্কারার নিকটে অবস্থিত একটি সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করে প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাসাদটিতে ওসমানি এবং সেলজুকের ঘরানার পাশাপাশি আধুনিক চীনা স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ ঘটেছে।
বিরোধী দলের অভিযোগ, তুর্কি প্রেসিডেন্ট বেকারত্বের মতো সামাজিক সমস্যা মোকাবেলা না করে বিলাসবহুল জীবনের দিকে ঝুঁকে আছেন। বাসভবন ছাড়াও প্রেসিডেন্সিয়াল জেটের জন্য ১১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন এরদোয়ান।
প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ সম্পর্কে দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা কেমাল কিলিচদারুগুলু বলেন, ‘দেশে ৩০ লাখ বেকার থাকলেও ‘তথাকথিত’ সুলতান প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন।’ তিনি আরো অভিযোগ করেন, এ প্রাসাদটি বানাতে শত শত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তবে এসব সমালোচনায় মোটেও কর্ণপাত করেননি এরদোয়ান। তিনি বলেছিলেন, কেউ আমাকে এই ভবনটি সম্পূর্ণ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। তারা যদি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে তারা আসুক এবং এটি গুড়িয়ে দিক।