মালেয়েশিয়ায় পাচারের সময় দুই মা্দ্রাসা ছাত্রসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড(বিজিবি। গত শনিবার ভোরে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কোয়াইনছড়ি পাড়া থেকে অপহৃতসহ তাদের আটক করা হয়েছে। এসময় পাচারে জড়িত তিন শীর্ষ মালয়েশিয়া মানব পাচারের দালালকে আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে দুই ছাত্রসহ চারজনকে অপহরণ করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে জাহাজে তুলে দেয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপির সুবেদার বজলুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি’র সদস্যরা সাবরাং ইউনিয়নের কোয়াইনছড়িপাড়ার মৃত আমির হোসাইনের ছেলে খুইল্যা মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির মালিক মানব পাচারে শীর্ষ দালাল খুইল্যা মিয়া (৩৮), একই এলাকার মৃত মীর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (২৫) ও উখিয়ার পালংখালীর নুরুজ্জামান (৪০)কে আটক করে। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রুমে হাত-পা বাঁধা বন্দি অবস্থায় দুই ছাত্রসহ চার অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত উদ্ধারকৃত হচ্ছে কক্সবাজার পূর্ব খরুলিয়ার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. ইছহাক (২৩), নাজির হোসাইনের ছেলে নুরুল ইসলাম (২২), টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরী ফরিদ আহমদের ছেলে ও মিঠাপানিরছড়া মাদরাসার ছাত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম (১৩) ও মৌলভী হাসানের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ (১৩)কে।
উদ্ধার হওয়া ছাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, দালালরা আমাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে প্রথমে মারধর করে। এরপর হাত-পা বেঁধে হাতে রং দিয়ে দালালের চিহ্ন ইংরেজিতে “এ” চিহ্ন লিখে দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। অপহৃত পরিবারের দাবি গত ১১ই নভেম্বর দিনের যেকোন সময় মাদরাসার আশেপাশের এলাকা থেকে একটি চক্র অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পরের দিন একটি মুঠোফোন থেকে অপহৃতদের মুক্ত করতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন হবে। সে টাকা মজুত করে রাখেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ ঘটনায় পরিবারটি বিজিবিকে অবহিত করলে বিজিবি সদস্যরা গতকাল তাদের দুই ছেলেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে টেকনাফ ৪২ বিজিবি’র লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃত ছাত্রসহ চারজনকে উদ্ধার করে সঙ্গে তিন শীর্ষ মানব পাচারের দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।