রাজমাহী প্রতিনিধি:
২০১৩ সালে লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছিলেন নাজমূল হোসাইন। এবারও ওই ছাত্র জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থান মাদ্রাসা থেকে। অভিযোগ উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কম থাকায় পাশ করা ছাত্র দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।
জানা যায়,২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন মোতাবেক জন্মা তারিখ ছিল,১২-০৩-১৯৯৯ ইং। চলতি পরীক্ষায় রেজিষ্টেশনে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ০১-০২-২০০০ ইং। জন্ম নিবন্ধন সনদ মোতাবেক নাম রেজিষ্ট্রেশন করে নাজমূলসহ ১২ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সুলতানপুর গোরস্থান মাদ্রাসার সুপার মৌলানা আব্দুল মান্নাফ। তবে দ্বিতীয়বার নাজমুলের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা জানলেও এর আগে এ বিষয়ে জানতেন না তিনি।
রোববার (১৬-১১-২০১৪) সকালে গনিত পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থী নাজমূল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,গতবারের পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট ছিল ৩.৮১। মান উন্নয়নের জন্য এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আগের মাদ্রাসার সুপারের সাথে পারিবারিক বিরোধ থাকার কারনে অপর মাদ্রাস থেকে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।
উপজেলার বাঘা ফাজিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মৌলানা আব্দুল গফুর ওই ছাত্রের পরীক্ষা ও জন্ম সনদের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন,মান উন্নয়ের জন্য একজন ছাত্র পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। তবে অপর প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে জানেনা তিনি।
দুড়দুড়িয়া মাদ্রাসার সুপার মৌলানা হাফিজুর রহমান বলেন, গত বছর তার প্রতিষ্ঠান থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশ করে নবম শ্রেণীতে নিয়মিত ক্লাসও করেছে নাজমূল হোসাইন। এবার ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার দাবি, ওই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী কম হওয়ায়, নতুন জন্ম নিবন্ধনে ওই ছাত্রের নাম রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজি আব্দুল মোকিম বলেন, মান উন্নয়নের জন্য ফের পরীক্ষা দিতে পারে। তবে একই প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হবে। লিখিত অভিযোগের বিষয়য়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাদ্রাসা বোর্ড কর্র্তৃপক্ষকে জানাবেন।