আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তারেক রহমান হলেন দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার প্রতীক। যেভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে দস্যু বনহুরের জন্মদিন পালিত হয়েছে।’
আজ শনিবার চট্টগ্রামে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আয়োজনে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন ঘটা করে পালন করা হয়েছে। আল্লাহর কী বিচার, সেদিন ছিল আবার বিশ্ব স্যানিটেশন দিবস। বিশ্বের মানুষ স্যানিটেশন দিবস পালন করেছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্যানিটেশন দিবসে তারেক রহমান জন্ম নিয়েছেন। কয়েকজন যুবলীগ নেতা আমাকে বিশ্ব স্যানিটেশন দিবস নিয়ে ব্যাখ্যা করতে বলেছেন। যদি চট্টগ্রামের ভাষায় না-ও বলি, স্যানিটেশন দিবস মানে টয়লেট দিবস।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা আব্বাস সাহেব বলছেন, তারেক রহমানকে নাকি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে দেশে আনা হবে। আমরা তারেক রহমানের দেশে আসার অপেক্ষায় আছি। যুবলীগ তারেক রহমানকে খুঁজছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তারেক রহমানকে খুঁজছে।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যুবলীগ প্রতিষ্ঠার কারণ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘এই সংগঠনটি আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। যুব সমাজের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সেই দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে।’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন সরকারের অগ্রযাত্রা ও দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত উড়াল সড়কের ব্যাপারে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) প্রক্রিয়াধীন।’
এতে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জিইসি মোড়ে তীব্র যানজট
যুবলীগের আজকের কর্মসূচির কারণে নগরের জিইসি মোড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। নগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসার কারণে সেখানে ট্রাফিক ব্যবস্থাও কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিশ্চুপ ছিলেন।