বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দেশের দুই জন বিশিষ্ট চিত্রাভিনেত্রী ও একজন স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে আমাকেও ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন।
১। খবরে বলা হয়েছে যে, আর্থিক অনুদানের ঐ টাকাটা চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্য নয়। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, চেকের মাধ্যমে নয়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সোনালি ব্যাংকে নিবন্ধিত ‘পরিবার সঞ্চয়পত্রে’র মাধ্যমে আমাকে এই অর্থ প্রদান করা হয়। ফলে, প্রদত্ত অর্থের ওপর আমার প্রবেশাধিকার যথেচ্ছ বা স্বাধীন নয়। এটা হচ্ছে অদৃশ্য টাকা বা আনসিন মানি।
তবে আমাকে প্রদত্ত সঞ্চয়পত্র থেকে আমি প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে সুদ পাবো। ঐ সুদের টাকাটা আমি স্বাধীনভাবে খরচ করতে পারবো।
২। চিত্রাভিনেত্রী রানী সরকার বা শাহিনা সিকদার বনশ্রীর দুর্দশাকবলিত জীবনের কথা পত্রিকায় পাঠ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গণভবনে ডেকে এনে সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়নি। আমার বাই-পাস হওয়ার আবেগজড়িত ঘটনাটিকে কাজে লাগিয়ে আমি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থ-সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। ভেবেছিলাম ১০ লক্ষ পাবো। তিনি ২০ লক্ষ দিবেন, ভাবতে পারিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ।
৩। আমার স্বপ্নগ্রাম কাশবনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন ( বেতন না বলে মাসোহারা বলাটাই শ্রেয় হবে) দিতে হয়। ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র থেকে এই টাকাটা পাওয়া যাবে। আমার মৃত্যুর পরও যাতে প্রতি মাসে ব্যাংক থেকে এই টাকাটা পাওয়া যায়, এটা নিশ্চিত করার জন্যই আমি আমাকে প্রদত্ত ২০ লক্ষ টাকা সঞ্চয়পত্রের অর্ধেক- অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকা আমার পরিবর্তে আমাদের কাশবনের নামে ট্রান্সফার করতে চাই।
সোনালি ব্যাংকের বারহাট্টা শাখাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেরকম বিশেষ নির্দেশ প্রদান করলে এই কাজটা সহজে সম্ভব হবে। অন্যথায় ‘পরিবার সঞ্চয়পত্র’ প্রতিষ্ঠানের নামে পরিবর্তন করা যাবে না।
৪। আমার নৈতিকতার ওপর আস্থা রেখে বাকি ১০ লক্ষ টাকাকে দৃশ্যমান করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দেবেন বলে সংস্কৃতি মন্ত্রী বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জনাব আসাদুজ্জামান নূর আমাকে যে কথা দিয়েছেন, আশা করি তিনি সেটা ভুলে যাবেন না। এই দুটো কাজ সম্পন্ন হলেই আমি সানন্দে প্রস্থান করতে পারবো।