ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে এই আদেশ দেন।
বিএনপিপন্থি আইনজীবী এ এম আবেদ রাজার দায়ের করা রমনা থানার মামলার শুনানিতে হাকিম বলেন, “যেহেতু আসামি জামিন আবেদন করেননি, সেহেতু তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হলো।”
মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারানো এই সংসদ সদস্য এর ঘণ্টা খানেক আগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, “লতিফ সিদ্দিকী বেলা দেড়টার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন।”
পরে থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকীর সঙ্গে লতিফ ঢাকার হাকিম আদালতে যান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী হজে যাওয়াকে ‘অর্থ অপচয়’ বলার পরপরই তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার এক পর্যায়ে ইসলামী দলগুলো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয়।
এরপর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বাদ দেওয়া হয়। পরে দল থেকেও বহিষ্কৃত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
এই পুরো সময়টা বিদেশেই ছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। যুক্তরাজ্য থেকে যান ভারতে, সেখান থেকে আকস্মিকভাবে রোববার রাতে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন।
কিন্তু তার কোনো খোঁজ না মেলায় সোমবার দিনভর গুঞ্জন চলে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না করায় রাজপথ থেকে সংসদ সব স্থানেই চলে ক্ষোভ বিক্ষোভ।
আগাম জামিন চাইতে সোমবার লতিফ হাই কোর্টে যাচ্ছেন বলে খবর চাউর হলেও শেষ পর্যন্ত তার সত্যতা মেলেনি।