জিসান আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে নিশ্চিত মৃত্যু আশঙ্কা নিয়ে বসবাস করছে সাধারণ মানুষ। এ তালিকায় শহরের বেশ কয়েকটি জনবহুল মার্কেট, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, এমনকি সরকারী স্থাপনাও রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভবনগুলোতে মানুষ বসবাস করলেও প্রশাসন বিষয়টি দেখেও যেন দেখেন না।
সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গার শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিন্থিত করে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। কিন্তু ঘটনার পরিক্রমে হারিয়ে গেছে সে তালিকাও।
চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যস্ততম ও জনবহুল পুরাতন বাজার মার্কেটের দৃশ্য তার মধ্যে অন্যতম। এই মার্কেটের কয়েকশ বছরের পুরাতন একটি দ্বিতল ভবন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে ভবনটির ছাদ ইতিমধ্যে ধ্বসে পড়েছে। ভবনটির ইট-পাথরসহ দেওয়ালের চুন-পলিষ্টার ও অন্যন্য যাবতীয় জিনিসপত্র খসে পড়ে ভবনটি মৃত্যু ভবন হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচেই রয়েছে জনবহুল অর্ধশতাধিক দোকানপাট।
শুধু এই ভবনটিই নয়, এ রকম আরো শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে। যেখানে প্রতিনিয়ত নিশ্চিত মৃত্যু আশঙ্কা থাকার পরও বসবাস করছে মানুষ।
বেসরকারী স্থাপনা নয়, ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে শ্রীমন্ত্র টাউন হল, রেজিষ্টি অফিস ও ট্রাফিক ফাঁড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারী স্থাপনা।
সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, এলজিইডি ও জেলা পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত দল চুয়াডাঙ্গার শতাধিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিন্থিত করে সেগুলোকে দ্রুত ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করে। কিন্তু ঘটনার পরিক্রমে হারিয়ে গেছে সেই তদন্ত রির্পোটও।
তবে, জেলা প্রশাসন বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মালিকদেরকে ইতিমধ্যে ভবন ভেঙ্গে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সরকারী ভবনগুলোও সংস্কার ও ভেঙ্গে ফেলার কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।