গতকাল বিসিবি’র নয়া সহ-সভাপতি আ জ ম নাসির উদ্দিনের সৌজন্যে আয়োজন করা হয়েছিল মেজবান। সেখানেই উপস্থিত বিসিবি’র সভাপতি নাজমুল হাসান ঘোষণা দিলেন দুই/একদিনের মধ্যেই সাকিব আল হাসানের ওপর আরোপিত শাস্তি পুরোপুরি ভাবে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর আগে আচরণগত সমস্যার কারণে ৬ মাসের জন্য তাকে সব ধরনের ক্রিকেট ও দেড় বছরের জন্য বিদেশের লীগে না খেলার শাস্তি ঘোষণা করেছিল বিসিবি। পরে ৬ মাস ক্রিকেট খেলতে না পারার সিদ্ধান্ত কমিয়ে তিন মাস করা হয়। সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে ফিরেই দেখান তার সেরা নৈপুণ্য। আর শর্তানুসারে মাঠে ও মাঠের বাইরে তার আচরণে পরিবর্তন আসায় বিসিবি তার শাস্তি পুরোপুরি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ সময় বোর্ড সভাপতি বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কিছু আলোচিত-সমালোচিত বিষয়েও নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। তার কথোপকথনের মূল অংশগুলো তুলে ধরা হলো-
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা
সাকিবের শাস্তি প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে, হয়তো সে বিগ ব্যাশেই খেলবে। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমার ধারণা কালকের (আজ) মধ্যে আমরা সিদ্ধান্তটা পেয়ে যাবো। সাকিবের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। বিগ ব্যাশ লীগ শুরু হয়ে যাবে দুই-চার দিনের মধ্যেই। এর মধ্যে শাস্তি না উঠলে তো সে দল
পাবে না। আমি আজ রাতে বাইরে যাচ্ছি- পরশু দিন ফিরছি। যেহেতু আমরা সভা করছি না। সিদ্ধান্তটা মৌখিক সবাই পেয়ে গেছি। পরশু আমি যখন ফিরবো বিমানবন্দরে ঘোষণা দেব। আমার একক সিদ্ধান্ত বলে আমি বলে দিতাম খেলতে পারবে। কিন্তু যেহেতু বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবার লিখিত বা মৌখিক সম্মতি ছাড়া আমরা করতে চাচ্ছি না।
ঢাকা প্রিমিয়ার
ক্রিকেট লীগ
আমাদের অনেকগুলো তামিম, সাকিব নাই, সে জন্যই সমস্যা হচ্ছে। ক্লাবগুলো অবশ্যই চাইবে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলতে। কিন্তু আমি যদি ক্লাবগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে এই সিরিজটি কিন্তু আমাকে বাদ দিতে হতো। বা অন্তত তিনটা টেস্ট ম্যাচ হতো না। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলতে হতে পারে বলে ক্লাবগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। এখন আমাদের অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। তারাও কিন্তু কম যাচ্ছে না। এখন তাইজুলকে জুবায়ের বা তাসকিনকে পেলেই হয়তো ওরা খুশি হয়ে যাবে। এই ধরনের যত বেশি খেলোয়াড় আনতে পারবো আমাদের তত ভালো হবে। আমার মনে হয়, জাতীয় দলকে সবকিছুর উপরে রাখা উচিত। এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্য জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়তে চাই না আমি। পাইপ লাইনে আরো খেলোয়াড় আছে তাদেরও সুযোগ দিতে হবে।
সৌরভ গাঙ্গুলির আসা
বিশ্বকাপের আগে সৌরভ গাঙ্গুলি আসছে না। এই ব্যাপারে নিশ্চিত। তবে সে যে আসছে এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নেই। কারণ, তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে নিজেও আগ্রহী, আমরাও আগ্রহী।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অভিযোগ
বোর্ডের সঙ্গে কোন ক্লাবের ঝামেলা আছে বলে আমার জানা নেই। আমি একটা চিঠি পেয়েছি, সেখানে একটা দল একটা অভিযোগ করেছে। আমার যতদূর মনে পড়ে তিনটা অভিযোগের একটা ছিল ভেন্যু নিয়ে। তাদের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে দেয়া হয় না। আমি সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিয়েছি। আমাকে বলা হয়েছে, তারাই সর্বাধিক ম্যাচ খেলেছে এখানে। এছাড়াও আম্পায়ার নিয়ে অভিযোগ করেছে। আমি জানতে পারলাম বেশির ভাগ আম্পায়ার তার পছন্দ না। নির্দিষ্ট কিছু আম্পায়ারকে তাদের খেলা পরিচালনা করাতে চায়। শুনে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। শুনেছি কখনো একটা ক্লাবের ইচ্ছায় আম্পায়ার দেয়া হয় না। আরেকটা অভিযোগ ছিল, ডিস্টার্ব করা হচ্ছে তার দলকে। যদি হয়ে থাকে অবশ্যই আমরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
বাউন্সি উইকেট
স্বল্প সময়ে যতটুকু পারা যায় চেষ্টা করবো। বিশ্বকাপের জন্য দুইটা উইকেট এভাবে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা ছিল। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য হয়তো ওভারলুক করে গেছে। এখন চেষ্টা করবো।