অভিবাসনের নামে মানব পাচারের কৌশল প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে । সমুদ্রপথে বাধা আসায় এবার বেছে নেয়া হয়েছে আকাশ পথকে!
শত শত বেকার তরুণকে জাল নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে পাঠানো হচ্ছে মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দেশে। যেখানে কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অনৈতিক কাজে রসদ যোগাচ্ছে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি। আর তাদের সহায়তা করছে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
মানব পাচারের নতুন গন্তব্য মালদ্বীপ। কাজের নিশ্চয়তা না থাকলেও ছোট্ট এই দ্বীপপুঞ্জে অসহায় বাংলাদেশিদের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। গরীব মানুষকে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখিয়ে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে। আর এসবের পেছনে অভিযোগের আঙ্গুল কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি আর জনশক্তি ব্যুরোর একদল অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে বিএমইটির অনুমোদন মিলছে ভুয়া চাকরির নিয়োগ পত্র বা এমপ্লয়মেন্ট এ প্রোভালের ওপর। যেখানে সংস্থাটির দায়িত্ব শ্রমিক পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ সঠিক কিনা তা যাচাই করা।
চাকরির নিয়োগ পত্রে দেখা যায়, দেশের নাম মালদ্বীপের পরিবর্তে লেখা আছে মালদ্বীভার্স। পতাকাতেও আছে ভিন্নতা । এমনকি দেশটির মাইগ্রেশন বিভাগের স্বাক্ষরও নেই সেই চাকরি পত্রে। অথচ এই কাগজেই মিলছে বিএমইটির ছাড়পত্র। আর যে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ মানব পাচারের, তাদের দাবি কোন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত নন তারা।
নাঈম ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার শিমুলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ধমকের সুরে কথা বলেন তিনি। ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতিও জানান প্রতিষ্ঠানের এই কর্তাব্যক্তি।
ভুয়া কাগজে কিভাবে মিলছে জনশক্তি ব্যুরো ছাড়পত্র, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন তিনি। ঘটনাটি দু:খজনক বলেও মন্তব্য তার।
বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশী মালদ্বীপে কর্মরত আছেন।