1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
৬২ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে ৫৬ স্পট - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

৬২ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে ৫৬ স্পট

  • Update Time : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
  • ২৮২ Time View

৬২ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে ৫৬ স্পটরাজধানীর মিরপুর এলাকা এখন ৬২ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে। ৫৬ চিহ্নিত স্পটে তারা নিয়মিত নানা ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে। এর বাইরেও আছে ছোটখাটো অসংখ্য স্পট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর অন্যান্য এলাকার তুলনায় মিরপুরকে ঘিরে মাদক ব্যবসা বেশি জমজমাট। তারা বলছেন, মূলত মিরপুরে ঘনবসতি ও বস্তি এলাকা বেশি হওয়াই এর অন্যতম কারণ। অভিযোগ আছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ কিছু সদস্য, পুলিশের সোর্স, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীর কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত বখরা নেন।

মাদক বিক্রি করার সময় সম্প্রতি কামরুল হাসান নামের এক পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতারও হন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করেছিল তাকে। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই পরস্পরবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইয়াবা, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিনসহ সব ধরনের মাদকই এখন মিরপুরে মুড়ি-মুড়কির মতো সহজলভ্য।

১৬ আগস্ট ২০১৪, রাত ১০টা- রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক বস্তিতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন আহত হন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতদের একজনের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মাথা ফেটে যায় একজনের। আরেকজনের পিঠে বিদ্ধ হয় কয়েক রাউন্ড গুলি। মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতরাও মাদক ব্যবসায়ী।

২২ এপ্রিল ২০১৪, রাত ১টা- মিরপুর দক্ষিণ পীরেরবাগ ১৮১/২/এ নম্বর বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও কাইয়ুম নামের দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর হত্যা মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট মিরপুর থানা পুলিশ জানায়, মাদক-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মধ্যে একজনকে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এ ছাড়া যে স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়, তা এলাকার চিহ্নিত মাদকের স্পট।

মাদক-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হতাহতের ঘটনা এ দুটিই নয়, রাজধানীর মিরপুরে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই ঘটছে খুনোখুনি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাবে রাজধানীর মিরপুরের পরিচিতি অন্যতম প্রধান মাদকপ্রবণ এলাকা হিসেবে। অন্যান্য এলাকার সঙ্গে তুলনা করে মাদক বেচাকেনার জন্য মিরপুরকে চ্যাম্পিয়ন বলে মন্তব্য করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ সমকালকে বলেন, মাদক নানাভাবে আইন-শৃঙ্খলায় নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মনজুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নিম্ন আয়ের লোকজন বেশি বসবাস করায় মিরপুরে মাদক ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। অনেক মাদক ব্যবসায়ী দ্রুত বাসা বদল করায় তাদের আইনের আওতায় আনতেও বেগ পেতে হয়।

চিহ্নিত মাদক স্পট ও ব্যবসায়ী: সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মিরপুরে চিহ্নিত মাদকের স্পট ৫৬টি। এসব স্পটে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চিহ্নিত ৬২ মাদক ব্যবসায়ী। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আটটি, পল্লবী থানা এলাকায় ২৪টি, কাফরুল থানা এলাকায় ১০টি, শাহ আলী থানায় চারটি এবং রূপনগর, ভাসানটেক ও দারুসসালাম থানা এলাকায় রয়েছে ১০টি মাদকের স্পট। তবে এসব এলাকায় আরও অনেক ভাসমান মাদকের স্পট রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় চিহ্নিত এসব স্পটে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে প্রায় সব থানা পুলিশের সিভিল টিমের সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে মাদক ব্যবসায় সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মদ, গাঁজার পাশাপাশি এ এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা চলে সবচেয়ে বেশি।

মিরপুরের যেসব এলাকাকে মাদক ব্যবসার স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- দারুসসালাম ও শাহ আলী থানা এলাকা, শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্সের পাশে ইদ্রিসের ফেনসিডিলের স্পট, লালকুঠি এলাকায় পুলিশের কথিত সোর্স রাজা ও ল্যাংড়া কবিরের ফেনসিডিলের স্পট, গাবতলী বাঁধের ওপর আমেনা বেগমের ফেনসিডিলের স্পট, শাহ আলী স্কুল রোডে বাবুর গাঁজার স্পট, কবরস্থান বস্তিতে রয়েছে ঝুনুর ফেনসিডিলের স্পট। এ ছাড়া পল্লবী থানা এলাকার সাংবাদিক কলোনির পূর্ব পাশের গলিতে কালুর ফেনসিডিলের স্পট, রাইনখোলায় ফাতেমা ওরফে ফতে, মিয়াবাড়ি হাজী রোড বস্তিতে মেহেরুন, মিরপুর ২ নম্বর সেকশনে ববি, ঝিলপাড় বস্তিতে নজরুল ওরফে নজু, মিল্লাত ক্যাম্পে রুস্তম, মিরপুর মাজার রোডে রাজা, কসাইটুলী বাগডাসার নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, কাফরুলের কাজীপাড়ায় হারুন মোল্লা, বাদশা মিয়া, বাবুল মিয়া, আল-আমিন, মাহমুদুর রহমান রিপন ওরফে ফেনসি রিপন, সেলিম, ভাসানটেকের কানা জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়া, দুলাল মিয়া, বাশার, মিন্টু, ১১ নম্বর সেকশনের মিল্লাত ক্যাম্পে গুড্ডু, ৫ নম্বর এভিনিউ পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় ছানা, বাদল, আরিফ, স্বর্ণপট্টিতে সাজু, ১২ নম্বর সেকশনে জামাল, মুসলিম বাজার ঢালে নুরু, শহীদ চলন্তিকা ক্লাব এলাকায় তপন, গিয়াসউদ্দিন, সুন্দর বাপ্পী, জিতু, মামুন, ৬ নম্বর সেকশন ট-ব্লকে রফিক, রূপনগর শিয়ালবাড়ীতে পারভেজ, পারভিন, ৬ নম্বর রোডে হারুন, ৭ নম্বর রোডে নানা, ৪-৫-৬ নম্বর রোডে রাজু ও তার মা নাজমা ওরফে নাজু, ৭ ও ৮ নম্বর লিঙ্ক রোডের বস্তিতে আবু সাঈদ, ১০ নম্বর রোডে সুমন, ১১ নম্বর মেইন রোডে আওলাদ, শহর আলী, রূপনগর রোডের পশ্চিম পাশে উজ্জ্বল, ১২ নম্বর রোডে আরাফাত, সুমন, হৃদয়, সোহেল, ১২ নম্বর রোডের পশ্চিম পাশে শিল্পীর মা শুক্কুরী বেগম, ১৩ নম্বর রোডে শীলা আপা, ১৪ নম্বর রোডে লতিফ, জাকির, কসাই মিন্টু ও সুমনের মাদকের স্পট রয়েছে। এ ছাড়া রূপনগর আবাসিক মোড় জামতলায় সেলিমের গাঁজার স্পট, ৩৩ নম্বর রোডের রূপনগরের পশ্চিম পাশের বস্তিতে মজিবরের গাঁজার স্পট, রূপনগর ১ নম্বর রোডের পশ্চিম পাশের বস্তিতে মামুন ও মাসুদের গাঁজার স্পট, পূরবী সিনেমা হলের বিপরীতে পূর্ব পাশে রয়েছে জহিরের ফেনসিডিলের স্পট।

মিরপুর বিভাগে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চিহ্নিত এসব মাদক ব্যবসায়ীর অধিকাংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। অনেকে আবার রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। বিভিন্ন সময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলেও মাদক ব্যবসার নেপথ্যে থাকা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না; যাওয়া সম্ভব হয় না মাফিয়াদের ধারেকাছেও। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমানে মিরপুর এলাকার কিছু কিশোর মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এদের বেশির ভাগই ইয়াবা আসক্ত। বিশেষ করে মিরপুরের কালশীতে এই ইয়াবায় আসক্ত কিশোরের সংখ্যা অনেক বেশি।

 

post by Usman  gony

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com