রুবেল আহম্মেদ বেনাপোল প্রতিনিধি(যশোর): বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের আটক বাণিজ্যের কারনে দিন দিন সেখানে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড মারাত্বক ভাবে বেড়ে চলেছে। রাতে থানায় গিয়ে হাজত খানা ভরা আসামী দেখা গেলেও সকালে এসে তাদের অনেককে পাওয়া যায়না।
এসব অপরাধীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের ছেড়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমন কি কেউ সময় মত উৎকোচের টাকা দিতে না পারলে তাকে দু থেকে তিন দিন পর্যন্ত থানা হাজত খানায় আটকে রাখা হ”েছ। সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সবাই ধুড়(অবৈধ সীমান্ত পারাপারকারী)। এসময় নিদিষ্ট করে মাদক সহ বিভিন্ন মামলার আটক আসামীদের নাম বলা হলে তখন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় আটকদের ব্যাপারে স্যারেরা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তাই নাম প্রকাশ করা সম্ভব হ”েছনা।
¯’ানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন রাতে আসামী ধরতে নয় আটক বাণিজ্য করতে এখন দল বল নিয়ে অভিযানে নামে থানার দুই দারোগা এস,আই মনির হোসেন,এএসআই মতিউর রহমান ও সিপাই সলেমান। এনিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা লেখি হলেও গোপাল গঞ্জের নাম ভাঙিয়ে তারা দেদারছে আটক বাণিজ্য চালিয়ে যা”েছ। আদায়কারী পুলিশ সিপাই সলেমান গত ১০ বছর ধরে একবার শার্শা থানা আর একবার বেনাপোল পোর্ট থানা এভাবে বদলী হয়ে আসছে। অনেকের বদলীর নির্দেশ আসলেও সলেমানের বদলীর নির্দেশ আসেনা।
এ ব্যাপারে পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, কোন আসামীকে আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম অথবা অপরাধিদের বিষয়ে আটক বাণিজ্যের প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যব¯’া নেওয়া হবে। #