কুড়িগ্রামে শীতবস্ত্রের অভাবে দুঃস্থ এবং অতি দরিদ্র মানুষের কষ্টের সীমা নইে। আর তাদের সহায়তায় সরকারিভাবে যে শীতবস্ত্র বরাদ্দ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাপমাত্রার হিমাংকের কাঁটা ক্রমশ নিচে নামছে। আর বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা থাকে চারদিক। তারপর সূর্যের দেখা মিললেও তাতে উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ধেয়ে আসছে হিমেল হাওয়া, এতে কৃষি ও শ্রমজীবীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। আর দুঃস্থ ও অতি দরিদ্র মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে হাটবাজার ও শহরের ফুটপাতগুলোতে নানা ধরণের শীতবস্ত্রের দোকান বসলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেন না অতি দরিদ্ররা।
আর ফুটপাতের দোকানদাররা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে ফলে দেখা দিয়েছে ব্যবসায় মন্দা।
এদিকে শীতার্ত অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যার চেয়ে শীতবস্ত্রের বরাদ্দ একেবারে কম হওয়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এই পরিস্থিতিতে শীতার্তদের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ।
ত্রাণ দপ্তরের হিসাব মতে, জেলায় অতি দরিদ্র পরিবারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’দফায় ৩৫ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১৩ হাজার ২৪০টি।