কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে পাসের হার ৯৩.৭৫ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থী, পাসের হার ও জিপিএ-৫ সবই বেড়েছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৮ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৯ হাজার ৪৪৬ জন, মোট পাশকরা শিক্ষার্থীদেও মধ্যে ছাত্র ৯০ হাজার ৯১৪ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩২ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৬৪ জন, এরমধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ১১০ জন ও ছাত্রী ১০ হাজার ১৫৪ জন। গত বছর ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫০ জনের মধ্যে পাস করে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৯৫ জন। ৫২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে এ যাবত ৫ বছরের ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জিত হয়েছে।
কুমিল্লা বোডের্র জেএসসিতে সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ক্রমানুযায়ী নিন্মে দেওয়া হল-প্রথম অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জিলা স্কুল। এ স্কুলের ৩৭৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৩৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কুমিল্লার নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৭৬ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। যুগ্মভাবে ৩য় ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের ৬০ জন ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের ৫৩ জনের মধ্যে সকলেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ৪র্থ ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুল, ৫ম ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৬ষ্ঠ কুমিল্লার আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুল, ৭ম কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এ- কলেজ, ৮ম চাঁদপুরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৯ম কুমিল্লার ইবনে তাইমিয়া স্কুল এ- কলেজ, ১০ম নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১১তম কুমিল্লা মডার্ণ হাইস্কুল, ১২তম নোয়াখালী জিলা স্কুল, ১৩তম কুমিল্লার বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি হাইস্কুল, ১৪তম চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পাইলট গার্লস হাইস্কুল, ১৫তম কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ, ১৬তম ফেনীর শাহীন একাডেমী, ১৭তম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ সরকারি হাইস্কুল, ১৮তম চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯তম চাঁদপুরের আল আমিন একাডেমী ও ২০তম কুমিল্লার অক্সফোর্ড ইণ্টারন্যাশনাল স্কুল। এবারের ফলাফলে লক্ষ্মীপুর জেলার কোন বিদ্যালয় সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই।
পিএসসি: কুমিল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে জেলার ১৬ উপজেলায় গড় পাসের হার ৯৯.০৮ শতাংশ।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৫৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৭৫১ জন। শতভাগ পাস করেছে জেলার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পিএসি তে ও পাশের হার বেড়েছে।
ইবতেদায়ী: ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জেলায় গড় পাশের হার ৯৭.৩৫ শতাংশ। জেলায় ১৬ হাজার ২৯৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫ হাজার ৮৬৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২৮ জন। জেলায় ১৬ উপজেলার মধ্যে লাকসামে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯৯.৭৮।
BY- MD. SUHEL KHAN