৫ জানুয়ারি নিয়ে উত্তাপের মধ্যে রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফখরুল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একাটি সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে বের হওয়ার সময় বাইরে থাকা যুবলীগকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন।
সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং নিজের কার্যালয়ে দলীয় চেয়ারপারসন কার্যত অবরুদ্ধ থাকার মধ্যে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে আসেন বিএনপির মুখপাত্র।
ঢাকায় সভা-সমাবেশে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, যার আহ্বায়ক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী।
সমাবেশের পর ফখরুল, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানসহ কয়েকজন জাতীয় প্রেসক্লাবের ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে বাইরে অবস্থানরত সরকার সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ ও ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখন ফখরুলসহ বিরোধী নেতারা আবার প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
এক পর্যায়ে মাথায় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের পট্টি লাগানো একদল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থানরত বিএনপি সমর্থকদের ওপর চড়াও হলে মারামারি বেঁধে যায়।
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে মারামারির পর ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইকবাল সোবহান বলেন, “প্রেসক্লাব শুধু সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্থান। এখানে রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে যারা এসেছেন, তাদের চলে যেতে অনুরোধ করছি।
“প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে বলছি, আপনারা অবিলম্বে রাজনৈতিক নেতাদের বের করে দিন। অন্যথায় আমরা সারারাত বাইরে অবস্থান করব।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি কয়েকবছর ধরে বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি বুলবুল বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব একটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখানে প্রেস ব্রিফিং করতে পারেন। তবে তার নেতৃত্বে শতশত দলীয় কর্মী প্রেসক্লাব দখলের চেষ্টা করতে পারেন না।”
এরপর ইকবাল সোবহান ও বুলবুলসহ সরকার সমর্থক সাংবাদিক নেতারা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভেতরে ঢোকেন।
ফখরুলসহ বিরোধী নেতারা ভেতরে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে অবস্থান নিয়ে আছেন।