বিএনপির ডাকা অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানরা। সড়ক-মহাসড়কে নাশকতার আশঙ্কায় বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ভারত থেকে ফিরে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং তাবলীগ- জামাতের বিদেশি মেহমানরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সোমবার রাতে দুই একটি বাস ছাড়লেও মঙ্গলবার থেকে ঢাকামুখী বাস না ছাড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কারণে চালকরা নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানান গ্রীণ লাইন পরিবহনের বেনাপোল কাউন্টারের ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগাম ঘোষণা ছাড়াই এভাবে যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারত থেকে ফিরে আসা শত শত যাত্রী ও বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশি মেহমানরা বিপাকে পড়েছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। বহির্গমনের যাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও বিশ্ব ইজতেমার কারণে আগমনকারী যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের চাইতে অনেক বেশি।’
বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসা বিদেশিদের জন্য বেনাপোলের মাহাবুবা হক এতিম খানায় স্থানীয়ভাবে খোলা হয়েছে একটি ‘ইজতেমা ক্যাম্প।’ ওখানে কথা হয় ভারতের হুগলীর আশরাফ আলি, দিল্লির আবু হানিফ, ইয়েমেনের মুহাম্মাদ জাসউদের সঙ্গে।
হুগলীর আশরাফ আলি বলেন, তার নেতৃত্বে ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে এসেছে।
দিল্লির মারকাস মসজিদ থেকে আবু হানিফের নেতৃত্বে এসেছেন ১৩ জনের একটি দল। বেনাপোল চেকপোস্টে তিনি বলেন, ‘দশ বছর ধরে নিয়মিত একটি জামাত (দল) নিয়ে ইজতেমা আসি। এবার এসে পড়েছি বেকায়দায়।’
ঢাকা মারকাস মসজিদের তাবলীগ-জামাতের আমির কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭৩ সদস্যের একটি দল বেনাপোলে আগত মেহমানদের তদারকির দায়িত্ব পালন করছে। ওই দলের সদস্য ঢাকার সাদরুল আমিন ও আব্দুর রহমান বলেন, গত ১৭ দিন ধরে মালায়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ড থেকে তাবলীগের প্রতিনিধিরা আসছেন। মঙ্গলবার বেশি এসেছেন ভারতের লোক। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চেকপোস্টে শুল্ক ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ক্যাম্পে ওনাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধ থাকায় ওনারা ক্যাম্পেই অবস্থান করছেন। সন্ধ্যার পর গাড়ি ভাড়া করে তাদেরকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে পাঠানোর চেষ্টা করব।