বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি জুবায়ের হোসেনের।
তবে আলোচনার কেন্দ্রটা কিন্তু ঠিকই দখলে রেখেছেন এই
তরুণ। দল থেকে বাদ পড়ার পরেও লাইমলাইটটা তাঁর ওপরই ধরা।
নির্বাচনী টেবিলে তাঁকে নিয়ে হয়েছে জোর বিতর্ক।
কোচ হাথুরুসিংহে তো বলেই দিয়েছেন, তিনি দলের
স্পিন বিভাগে বৈচিত্র্য আনতে জুবায়েরকেই চেয়েছিলেন।
তবে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের যুক্তি, ‘এত
তাড়াতাড়ি বিশ্বকাপের মতো জায়গায়
ওকে পাঠানো একটু ঝুঁকিই হয়ে যাবে। যাঁকে নিয়ে এত
আলোচনা, সেই জুবায়ের কিন্তু এসব নিয়ে মোটেও
মাথা ঘামাচ্ছেন না। দল থেকে বাদ
পড়া কিংবা বিশ্বকাপ খেলতে না পারার
ব্যাপারে তাঁর মধ্যে কোনো অস্থিরতা নেই। নিজেই
জানিয়েছেন,‘মানসিকভাবে যথেষ্ট শক্তই আছি। খারাপ
লাগার কী আছে?’
এই তো গত ২৫ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক
হয়েছিল জুবায়েরের। ১৯ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার সেদিন
জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনে টেস্ট অভিষেকের
মতো ব্যাপার ঘটে গেলেও তাঁর নাকি একেবারেই ভয়
লাগছে না। তিনি নাকি টেস্ট
খেলতে নেমে একেবারেই চাপ অনুভব করেননি।
ভাবান্তর নেই তাঁর বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়েও।
গতকালই কোচ হাথুরুসিংহে তাঁর প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
কিছুটা আফসোসই ঝরেছে কোচের
কণ্ঠে জুবায়েরকে না পেয়ে। তাঁর অভিব্যক্তি পরিষ্কার,
‘নির্বাচকেরা যা ভালো মনে করেছেন, সেটাই
করেছেন। বিশ্বকাপে যে দলটি যাচ্ছে, তারা সবাই খুব
ভালো ফর্মে আছে, আশা করি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
ভালোই করবে।’ উত্তরে যথার্থই পেশাদারত্বের ছাপ।
বিশ্বকাপে সুযোগ না হলেও জুবায়ের জানেন, সামনে অফুরন্ত
সময় পড়ে আছে তাঁর। সুযোগ সামনে মিলবে অনেকবারেই। নতুন
স্বপ্নের জাল বুননে নতুন উদ্যমে আবারও নেমে পড়বেন মাঠে।
দৃষ্টি তাঁর সামনের দিকেই, ‘এ বছর আমাদের
অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ হোম সিরিজ আছে। পাকিস্তান, ভারত,
দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে খেলতে। আমার মনোযোগ এই
সিরিজগুলোতেই। ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব সুযোগ
এলে সেগুলোকে কাজে লাগাতে।’