বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট।
আজ শনিবার জোটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাঁদের বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে। এ বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইজিপির গতকালের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইজিপি বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয়, একজন ছাত্রলীগের নেতা পুলিশের পোশাক পরে বক্তব্য রাখছেন। পুলিশের আইজির বক্তব্য নজীরবিহীন ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের মনে রাখা উচিত, কোনো অপকর্মই কখনো চিরদিনের জন্য মাটিচাপা থাকে না। জনগণ সব ঔদ্ধত্য, অহংকার ও নিষ্ঠুর অনাচারের বিচার করবেই।’
২০-দলীয় জোটের পক্ষে দেওয়া ওই বিবৃতিতে সই করেন অজ্ঞাতস্থানে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সেনাবাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলা হয়, ‘তারা যেনÿক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধ বাসনার যন্ত্রে পরিণত না হয়। কারণ এ দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।’
বিজয় না আসা পর্যন্ত অবরোধ চালানোর ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অবরোধ কর্মসূচির ওপর সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার নিদর্শনগুলো দেখলে মনে হয়, সরকার মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
২০-দলীয় জোটের অভিযোগ, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদের এবং দেশব্যাপী হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রাখা, মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে পরিকল্পিত নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো, প্রকাশ্যে বুকে গুলি করার নির্দেশ ইত্যাদি ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই নিষ্ঠুর কর্মযজ্ঞে নামানো হয়েছে দলীয় চেতনায় উজ্জীবিত বেশ কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের। আর এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেসামাল দলীয় ক্যাডারদের।’