সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন ছিল প্রাথমিকভাবে। সেটা আপাতত পূরণ হয়েছে। মালয়েশিয়ার কাছে হারের পর ঢাকায় ফিরে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ৬ জাতির বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে থাইল্যান্ডের।
সেমির স্বপ্ন পূরণ হতেই এবার ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছে মামুনুলরা। শুধু তাই নয়, শিরোপা জয়ের স্বপ্নও দেখছেন কেউ কেউ। আর দুটি ম্যাচ জিতেলই তো রচিত হবে ইতিহাস। তবে আপাতত থাই যুবাদের হারানোর প্রস্তুতিই নিচ্ছে মামুনুল অ্যান্ড কোং।
এ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে গতিময় ফুটবল খেলছে থাইরা। সেটা মাথায় রেখেই বুধবার অনুশীলনে ভিন্নতা এনেছেন ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। থাইল্যান্ডের শক্তিশালী এবং দুর্বল দিক নিয়ে কাজ করেছেন সবাই। অনুশীলন শেষে অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের ফ্রি কিকটাই তাদের বড় ভয়।
‘থাইল্যান্ড শক্তিশালী দল। কারণ তারা প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে। এরপর বাহরাইনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। আমার ধারণা যে টুর্নামেন্টে সব থেকে শক্তিশালী থাইল্যান্ড। তারা কর্ণার কিক, ফ্রি কিকে খুব বিপদজনক। তাদের বেশিরভাগ স্কোর হয়েছে ডেডবল থেকে। বাহরাইনের সঙ্গে তারা প্রথম গোলই ফ্রি কিকে করেছে’-বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের চেয়ে মধ্যমাঠে এগিয়ে থাইল্যান্ড। এটা মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও। তিনি বলেন, ‘তাদের মিডফিল্ড খুবই শক্তিশালি। তাদের দুইজন মিডফিল্ডার এবং একজন স্ট্রাইকারকে নিয়ে আজ কাজ (গতকাল) করেছেন কোচ। এই তিনজনকে কোচ বলেছেন ম্যান টু ম্যান মার্ক করতে।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে গিয়ে মামুনুল বলেন, ‘তাদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা অনেক গতিতে খেলি। আমরা চেষ্টা করি আক্রমণাত্মক খেলতে। আমরা চেষ্টা করি পুরো ৯০ মিনিট একই ধরণের ফুটবল খেলার জন্য। যেটা আমরা প্রথম ম্যাচে খেলেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছি। প্রথম ১০-১৫ মিনিট আর মাঝের কিছুটা সময় তারা সমস্যা করে। কারণ তারা এটাকিং ফুটবল খেলে। মালয়েশিয়ার সঙ্গের ম্যাচে আমাদের যে সমস্যাটা হয়েছিলো, তাদের কোচ বলেছিলো যে আমাদের খেলতে দিবে না। তারা অনেক প্রেসার করেছে। যেখানেই বল গেছে সেখানেই তাদের একজন -দু’জন গেছে।’