কামরুল ইসলাম হদয়, চট্রগ্রাম: আমার স্বামী নওশা মিয়া ইট ভাটার কাজ শেষ বাজারে আসে চাল কনিতে। কিন্তু সন্ধ্যা পরিয়ে রাত হলেও স্বামী ঘরে না ফেরায় খোঁজ করতে থাকি। পরে খবর পাই মিরসরাই থানা পুলশি তাকে আটক করে নিয়ে এসেছে। আমার স্বামীর কোন দোষ নেই। তিনি ইটভাটায় দনি মজুরি কাজ করনে।’ কথাগুলো বলছিলেন, চট্টগ্রামরে মিরসরাই উপজেলার নওশা মিয়া ইটভাটার শ্রমিক আবুতাহেরের স্ত্রী বিবি ফাতেমা। উপজেলার জামালরে দোকান থকেে মঙ্গলবার বিকেলে আবুতাহেরকে আটক করে মিরসরাই থানা পুলশি। হাইতকান্দি ইউনিয়নে মহালংকা জগদ্বশিপুর গ্রামে যুবলীগ র্কমী মহউিদ্দিনের হত্যাকান্ডে জড়তি থাকার অভিযোগে সন্দেহজনক ভাবে তাকে আটক করা হয়। শুধু আবুতাহের নয় এসময় বভিন্নি গ্রাম থেকে আরো ২৩ জনকে আটক করে মিরসরাই থানা পুলশি। গতকাল মিরসরাই থানায় গিয়ে দেখা যায়, কাষ্টরিতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। থানার সামনে যেন মেলা বসেছেে। আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে থানার গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, যাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অনেকে দিন মজুর। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নের চ্যেয়ারম্যান ও মেম্বার গিয়ে ততবির করে কয়েকজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলেও নিরীহ ব্যক্তিদরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিরীহ আবুতাহেরের স্ত্রী বিবি ফাতেমা আরো জানান, তার স্বামী নিরপরাধ। তিনি কোন রাজনীতি করেন না। ইটভাটায় কাজ করেন। প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দেখতে থানায় এসেছেন। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন তাকে না খেয়ে থাকতে হবে। মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী জানান, পুলিশ কিছুলোককে আটক করেছে। তবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনতে তিনি সুপারিশ করেছেন। মিরসরাই থানার ডিউটি অফিসার এ.এস.আই যশমন্ত মজুমদার বলনে, হাইতকান্দিতে যুবলীগ র্কমীকে হত্যার ঘটনায় সন্দহেভাজন ২৩জনকে আটক করে চট্টগ্রাম জলে হাজতে পাঠানো হয়েছ। এ বিষয়ে জানতে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করনেনি।