সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ দাবি করে তাঁর গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে খাবার প্রবেশে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে আল্টিমেটাম দিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার পৌঁছানো স্বাভাবিক করা না হলে সারাবিশ্ব থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিটেন্স বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় ইস্ট লন্ডনে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সাবেক সভাপতি মাহিদুর রহমান, সাবেক আহ্বায়ক এমএ মালেক। আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি তইমুছ আলী, মুহাম্মদ আখতার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, সহসাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান মাহতাব, হেলাল নাসিমুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাসির আহমেদ শাহীন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, বিএনপি নেতা এসএম লিটন, ম্ওালানা শামীম, যুবদলের দেওয়ান আবদুল বাসিত, সোয়ালিন করিম চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবুল হাসনাত রিপন, জাহাঙ্গীর আলম শিমু, রফিকুল ইসলাম সজিব, জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, নূরে আলম সিদ্দিকী, আমিনুল ইসলাম, সরফরাজ শরফু প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়ার খাবার বন্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য বিএনপি বিশ্বের সকল মানবাধিকার সংস্থায় চিঠি দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ক্ষমতাসীনরা বর্বরতার পথ পরিহার না করলে বাংলার ১৬টি কোটি মানুষ শুধু অবরোধ নয়, অসহযোগ আন্দোলনে যাবে। প্রবাসে যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বের প্রবাসীরা অবস্থানরত দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন এবং স্মারকলিপি প্রদান করবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ছয় দিন ধরে অভুক্ত রয়েছেন। গেইট দিয়ে খাবার ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সরকার। যখনই খাবার নিয়ে আসছে, তখনই খাবারের ভ্যান ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন- গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিহত ছাত্রদল নেতা নুরজ্জামান জনির মা, স্ত্রী এবং ছাত্রদলের নেত্রীদের আটক করে পুলিশ। জনির স্বজনদের ছেড়ে দিলেও ছাত্রদলের নেত্রীদের কারাগারে পাঠানো হয়। জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন গত রোববার খাবার নিয়ে গেলে তাকে আটক করে পুলিশ এবং পরে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে খাবার প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা কেবল একটি কথাই বলছে, উপরের নির্দেশ আছে। সোমবার দুপুরের খাবার আটকে দেয়ার সময়ও তারা একই কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা প্রশ্ন রাখেন, কে এই উপর-ওয়ালা?
–