জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জয়ন্ত কুমার মন্ডল নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের যতিন্দ্র নাথ মন্ডল এর ছেলে। সে লাঙ্গলবাঁধ নবোদয় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। জানা যায়, ধলহরাচন্দ্র গ্রামের মদন সরকারের বিধবা কন্যা ৩ সন্তানের জননী সারথী রানী সরকারের সাথে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে জয়ন্ত মাষ্টারের অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিল। বিয়ের প্রলোভনসহ নানা রকম আশ্বাস দিয়ে তাকে প্রতিনিয়তই ভোগ করে আসছিল জয়ন্ত মাষ্টার। গত শনিবার রাতের আধারে স্থানীয় জনতা আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে গণধোলাইয়ের শিকার হয় জয়ন্ত মাস্টার। তবে সারথী রানী দাবী করে ২ মাস আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিধান মতে তার মাথায় সিঁদুর দিয়েই তাকে বিয়ে করেছে জয়ন্ত। এখন নানা কারনে তাকে অস্বীকার করার পায়তাড়া চালাচ্ছে। এ খবর লাঙ্গলবাঁধ নবোদয় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা অবিলম্বে লম্পট শিক্ষক জয়ন্ত কুমার মন্ডলকে সত্বর অপসারনের দাবি জানান। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে কানাঘুষা চলছে। এদিকে সারথী রানী সরকার উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন কেয়ারের মাটি শ্রমিকের কাজ করে। যে কারনে ঘটনাটি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তদের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ইতেমধ্যে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত দরাখাস্তও প্রেরন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রনাথ জানান, সারথী’র অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জয়ন্ত মাস্টার তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে এবং তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এখন প্রভাবশালীদের দ্বারা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে গ্রাম্য মাতব্বরদের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকে দফা-রফার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরদিকে এলাকার স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে ঘটনার মোড় ঘোরানোর পায়তারা চালাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিয়ের কথা অস্বীকার করানোর জন্য সারথী রানীকে দফায় দফায় হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নানান ধরনের হুমকি ধামকি ও রাজনৈতিক চাপে ৩ টি এতিম সন্ত্যান নিয়ে অথৈ জলে ভাসছে সারথী রানী সরকার। জয়ন্ত মাষ্টার অতি দ্রুত সারথী রানীকে বউয়ের স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে সে আদালতের দারস্থ হবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম খান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পড়েনি। তবে এ জাতীয় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।