রেডিও স্বদেশ ডট নেট ঃ বন্ধ হতে চলেছে প্রাণের মেলার এবারের দ্বার। আজ শনিবার মেলার শেষ দিন। লেখক-পাঠকের এই মিলনমেলায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে আবার সুযোগ হবে একবছর পর। প্রিয় লেখকের বই কিনে তাতে লেখকের অটোগ্রাফ নেয়া কিংবা লেখকের সঙ্গে সেলফি তোলা, প্রাণ ভরে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়া, প্রিয় মানুষকে বেশি বেশি বই গিফট করা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বইমেলায় বইয়ের বিপুল সম্ভারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো একটি বছর।
আজ শনিবার ছুটির দিনে সকাল ১১টার সময় বই মেলা খুলেছে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মেলার শেষ দিনে মতো নবীন-প্রবীণ পাঠক-লেখকের উপস্থিতি পুরো প্রাঙ্গণকে মুখরিত করে রেখেছে। বইপ্রেমীরা যারা মেলার শুরুতে বই যাচাই-বাছাই করে দেখে গেছেন তারা শেষ দিকে সেসব তালিকাভুক্ত পছন্দের বই কিনছেন।
গতকাল শুক্রবার মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
বিক্রেতারা জানান, মেলার শুরুর দিকে যারা বই দেখে গিয়েছিলেন তারা শেষ দিকে সেসব বই কেনায় ব্যস্ত। তাই বিক্রি আগের দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
অমর একুশে বইমেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা। তাই দেশি লেখক-পাঠকের পাশাপাশি বিদেশি লেখক ও পাঠকরাও এই মেলাতে অংশ নেন। বিভিন্ন লেখার ওপরও দেয়া হয় সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার।
ফলে এদিন নিজের লেখা বই প্রকাশ হওয়াকে অনেকে ধন্য মনে করেন। তাই মেলার শেষ দিকেও প্রকাশিত হয়েছে প্রচুর নতুন বই। গত শুক্রবারও প্রকাশিত হয়েছে ১৯০টি নতুন বই। গতকাল পর্যন্ত মোট নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে তিন হাজার ৫৭৫টি বই।
বাংলা একাডেমির তথ্য মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। তবে বই বেশি প্রকাশ হলেও তেমন বিক্রি হয়নি বলে জানান প্রকাশকরা। অনেকে স্টল ও প্যাভিলিয়ন ভাড়াও ওঠাতে পারেননি। হরতাল-অবরোধের কারণে এটা হয়েছে বলে প্রকাশকরা মনে করেন। এজন্য প্রকাশকরা মেলার সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন। কিন্তু বাংলা একাডেমি প্রকাশকদের এ দাবি মানেনি।
তবে বিক্রি যাই হয়েছে শেষ দিনে চলছে হিসাব-নিকাশ। মোট কতটি বই বিক্রি হয়েছে সেই হিসাব নিয়েই এখন ব্যস্ত প্রকাশকরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ শেষ দিনে তুলনামূলক বেশি বই বিক্রি হবে বলেও তারা আশা করছেন