তিকরিতে প্রচণ্ড লড়াইয়ের সময় আল-আওজা গ্রামে থাকা এই সৌধটি ধ্বংস করে ফেলা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
অবশ্য স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, কবর থেকে সাদ্দামের দেহাবশেষ আগেই অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গ্রামটির সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্তরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালেই সাদ্দামের দেহাবশেষ কবর থেকে অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওফুটেজে দেখা যায়, সাদ্দামের কবরের ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। কেবল কয়েকটি পিলার এখনো দণ্ডায়মান।
তিকরিতে ইরাকি বাহিনী ও শিয়া আধাসামরিক বাহিনী দখলদার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
শিয়া আধাসামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, এলাকাটির বেশিরভাগ অংশই আইএস জঙ্গিরা ধ্বংস করে দিয়েছে, কারণ এখানে সাদ্দাম হোসেনের কবর রয়েছে।
ইরাকের সাবেক একনায়ক সাদ্দাম হোসেন ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর কাছে ধরা পড়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ইরাকের একটি আদালত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে শিয়া মুসলিম ও কুর্দিদের হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরপর ২০০৭ সাল থেকে তিকরিতের এই স্মৃতিসৌধেই সাদ্দামের দেহাবশেষ কবরস্থ করে রাখা হয়েছিল।
২০১৪ সালের জুন থেকে তিকরিত আইএস জঙ্গিদের দখলে ছিল। সম্প্রতি ইরাকি বাহিনী আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে দিয়ে শহরটিতে পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।