স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে ২০১৪ সালের ১৩মে রোজ সকাল ৭ টার সময় নিজ এলাকায় নির্মম ভাবে কিছু মানুষ রুপি হায়েনাদের হাতে খুন হন কালীগঞ্জের জনপ্রিয় সাবেক প্যানেল মেয়র ও কালীগঞ্জ উপজেলা বি এন পির সহ- সভাপতি ইসমাইল হোসেন। খুন হবার ঠিক ৪-৫ ঘন্টা পর খুনিদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয় বিক্ষিপ্ত জনতা।তারপর আনুমানিক ১০ বা ১৫ দিন পর খুনের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তার নিজ গ্রামের ছেলে শাহজান কে যশোর হতে আটক করা হয়। শাহজান কে আটকের পর তাকে পুলিশী রিমান্ডে নেওয়ার পর খুনের পিছনে কারা ইন্ধন দাতা ছিল তাদের নাম এক এক করে বের হয়ে আসে। শাহজানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুনের পিছনে সম্পূর্ন ইন্ধন দাতা ছিল কালিগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বার বার বিভিন্ন খুন,অপরহন,লুট তারাজের অভিযোগের দায়ে বিভিন্ন সাজা প্রাপ্ত আসামি ফরিদ মস্তান।এই ফরিদ মস্তান’ই হল ইসমাইল হোসেনের আসল খুনি। এই খুনি ফরিদ মস্তান শুধু ইসমাইল কে মেরেই খ্যান্ত হননি, আমাদের সমাজের ভাল ভাল মানুষের পিছনে লেগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মানুষ কে বিরক্তি করছে।বর্তমান সময়ে কালিগঞ্জের সন্ত্রাসীর জন্মদাতা আর বিভিন্ন মহলে চাদা বাজি আর লুট তারাজে মেতে আছে।শাহজান, আব্বাস হয়ত অসহায় কিংবা পেটের দায়ে ইসমাইল হোসেন কে হত্যা করেছিল আর এ অসহায় আর পেটের দায়ের সুযোগ নিয়েছে এই কুখ্যাত ফরিদ মস্তান আজ তারা জেলে ভিতর নিজেদের পাপের প্রাচিত্ত করছে আর তাদের ইন্ধন দাতা কুখ্যাত খুনি ফরিদ মস্তান কালিগঞ্জে নির্বিগ্নে বিচারণ করে বেড়াচ্ছে। এলাকার জনতা দাবি করছেন বর্তমান এমপি সাহেব কে আহবান করব আমাদের কালীগঞ্জ কে যদি আপনি সন্ত্রাস, মাদক,লুট তারাজ,চাদাবাজি মুক্ত দেখতে চান তাহলে এই সমস্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী দের কে প্রশ্রয় না দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে কালীগঞ্জ কে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত একটি আধুনিক মডেল শহর হিসাবে গড়ে তুলুন।