কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ উপজেলার মসূয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। চেয়ারম্যানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা দেন তারা। রোববারও একই দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। এলাকার লোকজন জানান, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যকেন্দ্রের সাবেক এক নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তা মোবাইলে ধারণ করেন। পরে মোবাইল ফোনের ভিডিওটি কেউ হয়তো তার অগোচরে কপি করে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। এর আগে ওই ভিডিও চিত্র ফেরত পেতে চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা তদবির করেও ব্যর্থ হন। এ সুযোগে স্থানীয় একটি চক্র চেয়ারম্যানকেও ব্ল্যাকমেইলিং করার চেষ্টা করে। তার কাছে ভিডিও ফেরতের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। দর কষাকষিতে বনিবনা না হওয়ায় চক্রটি পরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি হাতে হাতে দিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ওই চক্রের সঙ্গে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তা সফল হয়নি। ফলে চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ওইদিনই কটিয়াদী থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। পুলিশ মামলার তিন আসামির মধ্যে সাব্বির আহমেদ বাবুকে গ্রেফতার করে। মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রুমি জানান, একজন জনপ্রতিনিধির এ ধরনের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। মসূয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, এলাকার একটি চক্র গত দুই সপ্তাহ ধরে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাই এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন তিনি। ভিডিও চিত্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, মিথ্যা ভিডিও চিত্র দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তালা রোববার দুপুরে খুলে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। আমরা সেটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেব। সোমবার এলাকাবাসীর পক্ষে সিরাজুল ইসলাম প্রধান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।