ভারতের কর্ণাটকের বিজয়ওয়াদায় আটক বাংলাদেশি মেয়ে সোনাকে (ছদ্মনাম) দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা কালেক্টর বাবু এ.। একটি এনজিও’র অধীনে থাকাকালীন মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এনজিও কর্তৃপক্ষ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ঘটনাটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এখন তাকে সরকারি হেফাজতে নেয়ার পাশাপাশি দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও দ্রুততর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা কালেক্টর বাবু এ. বলেন, ইতিমধ্যে সোনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দ্রুত কাজ করছে প্রশাসন।
কয়েকদিন আগে নিজের হাতের রগ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বাংলাদেশি ওই মেয়ে। যে এনজিও’র আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটি থাকতো, সে এনজিও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে যাবার চেষ্টা করে। সিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান বি. নাগেশ রাও বলেন, এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায়নি ওই এনজিওর কর্মকর্তারা। এদিকে মেয়েটি জানিয়েছে, তাকে একমাস আগে পুরোনো আবাস থেকে নবজীবন বালা ভবনে স্থানান্তর করেছিল এনজিও কর্তৃপক্ষ। তখন তার সমস্যার দিকে কেউই মনোযোগ দেয়ার চেষ্টাও করেনি। তার আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা জানাজানি হলে, সিডব্লিউসি চেয়ারম্যান তখন মেয়েটিকে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। তখনও সেই নির্দেশ পালন করেনি এনজিওটি। কিন্তু এখন জেলা কালেক্টরের হস্তক্ষেপে তাকে সরকারি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার প্রত্যবাসনের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সোনাকে দীর্ঘদিন ধরে কেন আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল, এ ব্যাপারে কিছু জানায় নি কেউ।