তিনি বলেছেন, “চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষে এবং বাংলাদেশ জতীয়তাবাদী দলের সমর্থনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য আমি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। বিচারের ভার নগরবাসীর হাতে।”
শুক্রবার বিকালে বন্দরনগরীর জুবিলি রোডে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন মনজুর।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
দুপুরে জুমার নামাজের পর আমানত শাহের মাজার জিয়ারত করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দরকিল্লা মোড়ে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে যান মনজুর আলম।
মেয়রের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর তিনি প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ হোসেনের কাছে দয়িত্ব হস্তান্তর করেন।
এরপর নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে ভোটে দাঁড়াতে সংগ্রহ করেন মনোনয়নপত্র।
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন বুধবার রাতে মেয়র পদে মনজুর আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করে। পরদিন চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনজুরকে মেয়র পদে সমর্থনের ঘোষণা দেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এর আগে গত বুধবার সিসিসির শেষ সাধারণ সভায় নিজের মেয়াদকালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ৫৭ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি করেন মনজুর।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৫ মে উচ্চ আদালত মেয়র পদকে ‘লাভজনক’ চিহ্নিত করে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন জানায়, ওই পদে থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করা যাবে না।
সিসিসির তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও পদ ছেড়ে প্রার্থী হন।
২০১০ সালের ১৭ জুন ওই নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক ‘গুরু’ মহিউদ্দিনকে ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মনজুর। এরপর ওই বছরের ২৬ জুলাই সিসিসি’র প্রথম সাধারণ সভা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত মনজুর আলমের মেয়র পদের মেয়াদ ছিল। তবে ভোটে অংশ নিতে তাকে আগেই পদত্যাগ করতে হলো।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে ভোট হবে। এর আগে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সুযোগ আছে।