চট্টগ্রাম শহরের প্রানকেন্দ্রে মনোরম সৌন্দর্য্য মন্ডিত বাটালি হিলে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত নিকেতন হোটেলের নির্মাণ কাজের শুভ আরম্ভের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে ক্রম বর্ধমান পর্যটন শিল্পের দিগন্ত উম্মোচিত হতে যাচ্ছে।
আরেক সংযোজন নতুন প্রজন্ম হোটেলটি এ কে খান এন্ড কোম্পানীর মালিকানাধীন এবং শ্রীলংকার আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চান্না দাশওয়াতের (এম আই সিডি) স্থাপত্য নকশায় নির্মিত এ হোটেলটি ২০১৮ সালে এর কার্যক্রম পুরণ করবে বলে আাশা করা যাচ্ছে।
পর্যটন ও আতিথিয়েতা শিল্পে অপার সম্ভাবনার উপলব্দিটা বিলম্বিত হলেও বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের অবকাশ যাপন এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিশ্বমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সময়ে হোটেল সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। “নিকেতন হোটেল এন্ড রিসোর্ট” এক্ষেত্রে দক্ষিনাঞ্চলের সাথে ঢাকা, সিলেট এবং কক্সবাজার এর সাথে চট্টগ্রাম শহর প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করছে যা হোটেল সেবাখাতকে প্রতিযোগিতা মূলক খাতে পরিণত করেছে।
১৪৮ বর্গবিশিষ্ট নিকেতন হোটেল এবং রিসোর্ট হবে আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন সর্বোচ্চ সেবাদানকারী রিসোর্ট। ১৩.৫ একর জায়গার উপর নির্মিত হোটেলটির থেকে কর্ণফুলী নদী, বঙ্গোপসাগর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের জেটি সমূহের মনোরম দৃশ্যাবলী দৃষ্টিগোচর হবে।
হোটেল সত্ত্বাধীকারী শহরের পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে এবং দায়িত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কৌশলের অঙ্গীকার রক্ষার্থে খঊঊউ (খবধফবৎংযরঢ় রহ ঊহবৎমু ধহফ ঊহারৎড়হসবহঃধষ উবংরমহ) দ্বারা সার্টিফাইড সবুজ নির্মাণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনায় অঙ্গীকারবদ্ধ। এর ফলে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম শহর অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারবে।
বাংলাদেশ বর্ধনশীল পর্যটন শিল্প অপেক্ষমান আছে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত প্রজন্ম হোটেল এর জন্য হোটেলটিতে থাকবে একটি ইনফিনিটি পুল, একটি ওয়েলনেস সেন্টার, এথলেটিক সেন্টার এবং পুল এবং শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য থাকবে স্পা এরিয়া। হোটেলটিতে থাকবে বিলাসবহুল হোটেলের বৈশিষ্ট সম্পন্ন বারান্দা এবং সুপরিসর কক্ষসহ ৩০টি সুইট্। পিলারবিহীন সুউচ্চ ছাদ বিশিষ্ট বলরুম এবং হোটেলটির দশম তলায় থাকবে নানন্দিক সৌন্দর্যমন্ডিত এবং উন্মুক্ত বাগান সম্পন্ন এক্সিটিটিভ লাউঞ্জ যার দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য হোটেলটি প্রাচুর্যকে বর্ধিত করবে।
ব্যবসায়ের প্রয়োজনে বা সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে আসা অতিথিদের মানসম্পন্ন খাদ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে হোটেলটি তার স্বতন্ত্র তুলে ধরবে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে বিলাসবহুল সেবা গ্রহন পিপাসুদের নিকট সম্ভাবনাময় গন্তব্যস্থল হিসেবে চট্টগ্রামের স্বাতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করবে। নির্মিত হোটেলটি ৩০০ জনের অধিক লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। এবং চট্টগ্রামে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে যাচ্ছে। এবং সমজাতীয় শিল্প এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচেছ।
প্রকল্পটি তত্ত্বাবধান করবেন হোটেল পরিচালনায় আর্ন্তজাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনাব আতিক রহমান। হোটেলটি পরিচালনার জন্য একজন আর্ন্তজাতিক হোটেল অপারেটরের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হবে।