শিকল দিয়ে বেধে ধর্ষন নির্যাতন ও পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবী

মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন কৃত যুবতী কে শনিবার রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে । এ সময় অপহরন কারীর মুল হোতা কাউছার কে পুলিশ আটক করেছে ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার কোতায়ালী থানার চরবড়বিলা গ্রামের রিস্ক্রা চালক মোজাম্মেল হোসনের যুবতী কণ্যা (১৭) এর সাথে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার দেবীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে প্রতারক কাউছার (৩০) মোবাইলের রং নাম্বারে পরিচয় হয় ।সেই পরিচয় থেকে এক পর্যায়ে দুজনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । পরে প্রতারক বিবাহিত কাউছার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতী কণ্যা কে তার বাড়ি থেকে বের করে গত ১৮ এপ্রিল শনিবার নলডাঙ্গা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের ফজলুল রহমানের বাড়িতে আশ্রায় নেয় । সেখানে গরীব রিস্ক্রা চালকের যুবতী কণ্যা কে পায়ে শিকল পরিয়ে মধ্যযুগের কায়দায় দফায় দফায় ধর্ষন নির্যাতন শুরু করে এবং মেয়েটির পরিবারে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে । তার বোন গামের্ন্স কর্মী নদী জানায় ,আমার মোবাইল ফোনে মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা বিকাশে না পাঠালে আমার বোন কে পাচার বা হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় । এঘটনা জানার পর প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে আমার বোন কে উদ্ধার করি ।এব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত ওয়াজেদ আলী খান জানান,মেয়েটি কে উদ্ধার করে রবিবার মেয়েটির ২২ ধারায় জবান বন্দি রেকট করার জন আদালতে পাঠানো হয় এবং ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয় । আর আসামী কাউছার কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় । এঘটনায় যুবতি মেয়েটি বাদী হয়ে অপহরন ও ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে ।