আনোয়ার হোসেন রানা,ধামরাই প্রতিনিধি :
ধামরাইয়ে ভর দুপুরে গৃহগবধুকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে ধর্ষণের চেষ্টা, লম্পট অপরাধিকে বাঁচাতে মরিয়া একটি প্রভাবশালি মহল।
জানাযায়, সূয়াপুর গ্রামের পদা ঘোষের ছেলে দুই সন্তানের জনক চিত্ত ঘোষ(৩৫) নামের এক লম্পট। নির্জনবাড়ীতে একা পেয়ে এক গৃহবধূকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে । গৃহবধূর হাত ও মুখে লম্পটের নখের আচরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। নিজের ইজ্জত বাচাঁতে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে, এসময় গৃহবধূর চাচি শাশুড়ি ছুটে আসলে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ওই বধূকে লম্পটের হাতথেকে উদ্ধার করে। তখন চিত্ত ঘোষ গৃহবধূকে ও তার চাচি শাশুড়িকে ৫ শ’ টাকা দিয়ে বিষয়টি চাপাদেওয়ার চেষ্টা করে এবং বিষয়টি কাউকে জানাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চিত্ত। ওইদিন বিকেলেই স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের কাছে বিচারপ্রার্থী হন ওই পরিবার। দু’দিন দু’তরফা সালিস বসার কথা বলে রহস্যজনক কারণে কালক্ষেপণ করে চেয়ারম্যান। এ বিষয়টি ধামচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য (সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের) সামসুল ইসলাম উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চিত্ত ঘোষের বিকেলে ( শুক্রবার) ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে চিত্তর বিরুদ্ধে সালিস ডাকা হয়েছে।
গৃববধূর চাচাত ভাসুর ওই পরিষদের চৌকিদার। ওই চৌকিদার জানায়, সামসুল মেম্বার হুমকি দিয়ে বলেছেন তোর চাচা (গৃহবধূর শ্বশুর) বিষয়টি নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে খবর আছে। গৃহবধূর শ্বশুড় জানায়, চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হলে তিনি (চেয়ারম্যান) বলেন, এ নিয়ে সালিস করলে তোমাদেরকেই লোকে খারাপ বলবে, তোমাদের মানসম্মানের প্রশ্ন, তাই চুপেচুপে সেড়ে দেই।তবে শনিবার জানা যায়, শুক্রবার বিকেলেও এ নিয়ে কোন সালিস হয়নি পরিষদে। ঘটনাটি গত বুধবার ঘটলেও দীর্ঘ সময় ঘুরিয়েও চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার নাপেয়ে অবষেশে রবিবার ধামরাই ধানায় মামলা করে গৃহবধু।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।