বরগুনার সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের মধ্যম গাজী মাহমুদ গ্রামের সুইজগেট সংলগ্ন ওপদার ঢালে বিধবা লাকি বসবাস করে। জানা গেছে লাকির বাবার বাড়ি যশোরে, বরগুনার গাজী মাহমুদ এলাকার স্বামী খলিল তাং আড়াই বছর আগে মারা যাওয়ায় অসহায় লাকিকে প্রায় ঐ এলাকার মৃত- মোমিন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নিজাম উদ্দিন হাওলাদার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে, এক পর্যায় লাকির অসহায় দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২য় বিবাহ করিবে বলিয়া দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ভাবে প্রায় দুবছর যাবৎ তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক চলে। এ পর্যায় লাকি বিবাহের চাপ দিলে তাকে পাথরঘাটা একটি কাজি অফিসে নিয়ে অসহায় লাকি বেগমের ভূয়া কাবিন করেন নিজাম উদ্দিন। তাকে নিয়ে গত ২৫ শে মে বরগুনা আবাসিক হোটেল তাজবিনে নিয়ে একটি কক্ষে থাকে। এসময় কিছু লোকজনের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করিলে প্রথমে নিজাম উদ্দিন স্বামী- স্ত্রী সম্পর্কের পরিচয় দিলেও পরোক্ষনে তা অস্বীকার করে। পরে লাকির বক্তব্য শুনে উপস্থিত লোকজন শালিসী করেন। ২০ হাজার টাকা নিজাম উদ্দিনকে জরিমানা করেন যাহা তিনশত টাকার নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে লিখিত আছে। অসহায় লাকির ন্যায় বিচার না পাওয়ায় জেলা প্রেস ক্লাব বরগুনাতে গোলাম সরোয়ার রোডের হাওলাদার ভবনের ২য় তলায় ক্লাবের হলরুমে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে জানান আমি একজন বিধবা মহিলা আড়াই বছর পূর্বে আমার গর্ভের দুটি মেয়ে সন্তান রেখে আমার স্বামী মারা যায়। সহায়সম্বল বলতে আমার কিছুই নেই আমি মধ্যম গাজী মাহমুদ গ্রামে ওপদা রাস্তার ঢালে সরকারী যায়গায় ছাফরা দিয়ে সন্তানদের নিয়ে আহারে অনাহারে অর্ধহারে জীবনযাপন করছি। আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মধ্যম গাজী মাহমুদ গ্রামের মৃত্যু মোমেন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বিয়ের প্রলেভন দিয়ে দুই বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পাথরঘাটা কাজী অফিসে নিয়ে বিবাহ্ করে। বিবাহ্ কিছু দিন গোপন রাখবে বলে প্রতারনা করে কাবিন লুকিয়ে ফেলে। আমাকে স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেত। কয়েক দিন আগে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে ঢাকা নিয়ে যায়। ঢাকা থেকে বরগুনা আসার পথে বরিশাল থাকার জন্য বলে। আমি আমার সন্তানদের কথা চিন্তা করে, আমার কথিত স্বামী নিজাম উদ্দিন এর অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বরিশাল না থেকে বরগুনা আসি পড়ে বরগুনা আসার পরে সে আমাকে জোর করে টাউনহল সংলগ্ন তাজবিন হোটেলে নিয়ে যায়। এক পর্যায় হোটেলে এসে তার ভাইয়ের ছেলে মোঃ কালাম, আমাকে বলে তুমি বিদেশে যাবা তোমাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেব। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেলে পুলিশ এসে কিছু টাকা নিয়ে চলে যায়। পুলিশ যাওয়ার পরে কয়েকজন লোক এসে তার কাছে আমার সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে সে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। পরে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৪,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার কথিত স্বামীকে আটক করে। একটি লেখা পরি নিয়ে ২০ হাজার টাকা, জরিমানা করে। কিন্তু সে টাকাও আমার হাতে দেয়নি। আমি অসহায় হওয়ায় প্রতারক স্বামী আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে, এলাকায় পূর্বে ঘটে যাওয়া বিবাহের মিমাংসা হয়েছে বলে অপপ্রচার করে এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের খুনজখমের হুমকি দেয়। নিজামউদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তার মুটোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফোনটি বন্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ কাওসার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা সত্য। সে টাকার গরমে কাউকে পাত্তা দেয় না। ১০নং নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি, এধরনের ঘটনার বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে আইনের আশ্রয় নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।