ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিশ্চিত করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবারের ঈদে দশ জোড়া নতুন ইঞ্জিনের পাশাপাশি যুক্ত হবে ১৫৮টি বগি।
এছাড়া ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখতে বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি বন্ধেও নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।
তুলনামূলক সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক হাওয়ায় রেলের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ বরাবরই একটু বেশি। বাংলাদেশ রেলওয়ের ১ হাজার ৮শ’ ৮ কিলোমিটার মিটার গেজ ও ৪০৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩৩৯টি ট্রেন চলাচল করে।
এর মাধ্যমে গড়ে দৈনিক ১ লাখ ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। আর ঈদ মৌসুমে সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারে। যদিও শেষ তিনদিনে তা দু’লাখ ছাড়িয়ে যায়।
আর তাই এবারের ঈদে যাত্রী চাপ সামাল দিতে রেলের ওয়ার্কশপে চলছে মেরামতের কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে অতিরিক্ত ইঞ্জিনের পাশাপাশি যোগ করা হবে বেশ কিছু বগিও।
বাংলাদেশে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাম হোসেন বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রীপুর কারখানা আমরা ৭৫টি ক্যারেজ মেরামত করতে পারবো। সেগুলো ঈদের আগে বহরে যুক্ত হবে। তেমনি পাহারতলী কারখানা থেকে আমরা ৮৩টি ক্যারেজ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অতিরিক্ত ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবেই যদি ১০ বগির হয় তাহলে এই ঈদেও ট্রেনের সংখ্যা কমবে না।’
এদিকে, শিডিউল ঠিক রাখতে কর্তৃপক্ষ সজাগ বলে জানালেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ‘যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন, তাদেরকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি যাতে সময় মতো ট্রেন ছাড়া হয়। আশা করি গতবার আমরা যে সেবা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে যাত্রীদের সেবা দিতে পারবো।’
এছাড়া, যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলেও জানান।