চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পর বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষানবিশ পাইলট এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে, বন্দর থেকে ২টি, কোস্টগার্ডের ২টি এবং নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
বিমান বাহিনীর ফাইটার জঙ্গি বিমান এবং তার একমাত্র পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকাল এগারোটায় বিএএফ জহুরুল হক ঘাটি থেকে উড্ডয়নের পর ১১টা ১৪ মিনিটে টাওয়ারের সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এরপর থেকে বিমানটি উদ্ধারের জন্য নৌবাহিনীর ২টি, কোস্টগার্ডের ২টি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ২টি জাহাজসহ ৬টি জাহাজ এবং বিমান বাহিনীর ৩টি হেলিকপ্টার একযোগে গভীর বঙ্গোপসাগর এলাকায় তল্লাসি চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় মাঝি-মাল্লারা জানিয়েছেন এই বিমানটি এ ব্রাভো পয়েন্টে বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর তারা ঘটনাস্থলে এসে বিমানের তিনটি টুকরো উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে।
কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে স্বীকার করেছে তারা বিমানের দেয়া তিনটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া না হলেও তারা বলছেন শেষ পর্যন্ত এ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মান তাহমীদের প্রতীক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা।
সোমবার রাতে, চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর অফিসার্স মেসে প্রবেশের আগে সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান, নিখোঁজ শিক্ষানবিশ পাইলটের চাচাতো ভাই সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে খোঁজা হচ্ছে। খোঁজার পর জানানো হবে। কিন্তু লিখিত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে তারা এখন আশা ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা এখন চাচ্ছি ডেড বডিটা।’