অবৈধ ও অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মৌসুমি ফল খেয়ে দেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউশন-আইইসিডিআর। মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীটনাশক মেশানো ফল শুধু স্বল্প মেয়াদে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে এগুলো স্বাস্থ্যহানির বড় কারণ।
এদিকে ফলে অবৈধ কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধে নতুন আইন তৈরি করে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
আইইসিডিআর এর তথ্য মতে, গত ৭ বছরে দেশের বিভিন্ন জেলায় মৌসুমী ফল লিচু খেয়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ জন। যার মধ্যে গত জুন মাসে দিনাজপুরে মারা যায় ১১ জন।
আইইসিডিআর এর গবেষকরা বলছেন, লিচু খাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঐ শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। তারা বলছেন, ফলগুলোতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আইইসিডিআর পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ফলমূলে ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে আমরা প্রায় ২৩ ধরনের কীটনাশক শনাক্ত করতে পেরেছি। এসব কীটনাশক নিয়ম মেনে ব্যবহার করা হচ্ছে না।’
আইইসিডিআর এর গবেষণায় উঠে এসেছে, মৃত শিশুদের বাড়ি লিচু গাছের আশেপাশে অর্থাৎ শিশু মৃত্যুর ঘটনা ছিল কীটনাশকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। তবে দীর্ঘ মেয়াদেও শরীরে কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলেও জানান মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে কীটনাশক মেশানো ফল খেয়ে যেন শিশু মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সরকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সামাজিক সংগঠনগুলো এখনই সোচ্চার হলে ফলে কীটনাশকের ব্যবহার দ্রুত বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।